চা আমদানি না করে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
চা আমদানি না করে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ। তিনি বলেন, চা আমদানি নিরুৎসাহিত করে উৎপাদন বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলের মাটি উন্নতমানের চা উৎপাদনের জন্য বেশ উপযোগী। সেখানে চা উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সম্মেলন কেন্দ্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ড আয়োজিত ‘উন্নয়নের পথনকশা : বাংলাদেশের চা শিল্প’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
চা উৎপাদনের তথ্য পেশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭০ সালে ৪২ হাজার ৬৩৭ হেক্টর জমিতে ৩১ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হতো। ২০১৩ সালের হিসাব মতে, ৫৮ হাজার ৭১৯ হেক্টর জমিতে ৬৬ দশমিক ২৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ৬৪ মিলিয়ন কেজি। এ সময় ১৩৩ দশমিক ০৪ মিলিয়ন টাকা মূল্যের দশমিক ৫৪ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করা হয়েছে। দেশে চা ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। দেশে চায়ের চাহিদা ৩ দশমিক ২৩ ভাগ হারে বাড়ছে, অপরদিকে আমাদের উৎপাদন ২ ভাগ হারে বাড়ছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উত্তরাঞ্চল পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিহাট জেলায় উন্নতমানের চা উৎপাদন শুরু হয়েছে। সরকার চা উৎপাদনকারীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।আমাদের সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগালে চা উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করে বিপুল পরিমাণ চা বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এনায়েত উল্লাহ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মুর্তজা রেজা চৌধুরী এবং অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. শওকত আলী ওয়ারেছী। এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চা উৎপাদনকারী এবং চা ব্যবসায়ীরা উপস্থিত থেকে মতামত দেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা- ভিশন ২০২৫ বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশে আরো চার হাজার ৬৯৮ হেক্টর অনাবাদি জমিতে ১২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করা সম্ভব। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিপুল পরিমাণ উন্নত মানের চা বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এ জন্য চা শিল্পের উন্নয়নে সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার।