ফের বাড়ল সোনার দাম, নেই সমন্বয়
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/02/11/photo-1455185807.jpg)
দেশের বাজারে টানা তিনবার বাড়ল সোনার দাম। তবে বরাবরই আন্তর্জাতিক বাজারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে না। তবে সোনা আমদানিতে শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরোপ করায় দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
আজ বৃহস্পতিবার বাজুসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, ২২ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম সোনার দাম তিন হাজার ৮৫৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম তিন হাজার ৬৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম তিন হাজার ১০৫ টাকা, সনাতন পদ্ধতির প্রতি গ্রাম দুই হাজার ১৫৫ টাকা ও ২১ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম রুপার দাম ৯০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে এ ঘোষণা কার্যকর হবে।
বাজুসের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম পড়বে ৪৪ হাজার ৯৬৫ টাকা। আগের চেয়ে প্রতি ভরির দাম বেড়েছে এক হাজার ২২৫ টাকা। এর আগে এক ভরি সোনার দাম ছিল ৪৩ হাজার ৭৪০ টাকা।
বাজুস সোনার দাম বাড়ালেও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম কম রয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্যমতে, বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় আন্তর্জাতিক বাজারে এক আউন্স (২.৪৩০৫ ভরি) সোনার দাম এক হাজার ১১৮ ডলার ৪০ সেন্ট বা ৯৭ হাজার ৪৭২ টাকায় লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে এক ভরি সোনার দাম ৪০ হাজার ১০৪ টাকা। এ হিসেবে দেশের বাজারে সোনার দাম চার হাজার ৮৬১ টাকা বেশি রয়েছে।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি সোনার দাম বাড়ায় বাজুস। তবে তখন পণ্যটির দাম আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে প্রায় ছয় হাজার টাকা বেশি নির্ধারণ করে বাজুস।
আন্তর্জাতিক বাজার ও দেশের বাজারের মধ্যে এই সমন্বয়হীনতা কেন—জানতে চাইলে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক খান বলেন, ‘স্বীকার করছি দেশের বাজারে সোনার দাম বেশি। তবে আমাদের কিছু করার নেই। সরকার প্রতি ভরি সোনা আমদানির ওপর তিন হাজার টাকা কর আরোপ করেছে। আর বিক্রির ওপর ৫ শতাংশ হারে মূসক দিতে হয়। সেখানে প্রায় আড়াই হাজার টাকা চলে যায়। আমাদেরও তো কিছু মুনাফা করতে হবে। এভাবেই দাম বেড়ে যাচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিদেশ থেকে দেশে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার ভরি সোনা আসে। এ ক্ষেত্রে কোনো কর দেওয়া হচ্ছে না। আর দেশের ব্যবসায়ীরা এভাবেই সোনার জোগান পাচ্ছেন।
তবে সোনার দাম সমন্বয় না হওয়ার পেছনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা রয়েছে বলে মনে করেন ক্রেতারা।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ও ৯ নভেম্বর এক হাজার ২২৫ টাকা করে টানা দুবার সোনার ভরিতে দাম কমানো হয়। তবে তখনো আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম বেশি ছিল। কখনোই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারের দামের সমন্বয় করছেন না ব্যবসায়ীরা।
গত বছর ১৭ অক্টোবর সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ৫১৬ টাকা বাড়ায় বাজুস। এর আগে ৪ আগস্ট আরো এক হাজার ২২৫ টাকা ভরিতে কমানো হয়। তখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়ায় ৪১ হাজার ৭৫৭ টাকা।
গত বছর ২২ জুলাই দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে (২২ ক্যারেট) এক হাজার ৫৪০ টাকা কমানো হয়। এতে তখন এক ভরি সোনার দাম দাঁড়ায় ৪২ হাজার ৯৮১ টাকা।