ফার্নেস অয়েলের দাম কমলেও বিদ্যুতের দাম কমছে না
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/29/photo-1459238639.jpg)
ফার্নেস ওয়েলের দাম কমলেও বিদ্যুতের দাম কমছে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প কারখানায় পণ্য উৎপাদন ও জাহাজ চলাতে ফার্নেস অয়েল লাগে। ফার্নেস অয়েলের দাম কমাতে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি কার হবে।
ফার্নেস অয়েলের দাম কমলে বিদ্যুতের দাম কমবে কি না—সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপাতত বিদ্যুতের দাম কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। ফার্নেস অয়েলের দাম কমানোর পর উন্নয়ন কাজ শুরু করলে বিদ্যুতের দাম কমানোর সুযোগ থাকবে না। বরং সে ক্ষেত্রে বাড়বে।
বিদ্যুতের দাম বাড়ছে কি না—জিজ্ঞেস করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপাতত বলা যায় বিদ্যুতের দাম কমছে না।
জ্বালানি তেলের দাম কমলে স্বাভাবিক নিয়মে বিদ্যুতের দাম কমনো হয়। কিন্তু বিদ্যুতের দাম কমছে না কেন—এ প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি খাতে বিশাল ভর্তুকি দিতে হয়। এর পরিমাণ পাঁচ থেকে সাত হাজার কোটি টাকা। এটি সমন্বয় করতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চায়। এ ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী মূল্যের বিষয়টিও আমাদের দেখতে হয়। আর জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। সবাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায়। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উন্নয়ন ও নতুন কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।’
গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, লাইনের গ্যাস বাদ দিয়ে এলপিজি সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্রেক ইভেন্টে আসার পর গ্যাসের দাম কমানোর ব্যাপারে চিন্তা করা হবে।
আর কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রলসহ অন্যান্য জ্বালানির দাম কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।