শিল্প শ্রমিকদের ন্যায্যমূল্যে ছয়টি নিত্যপণ্য দিতে চাই : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ঢাকা এবং ঢাকার আশেপাশের শিল্প এলাকার শিল্প শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় এনে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পাঁচ থেকে ছয়টি নিত্যপণ্য দিতে চাই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সহযোগিতা দরকার।
গতকাল রোববার (৩ মার্চ) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বিসিআইয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন। বিসিআইয়ের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরীর (পারভেজ) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় প্রতিমন্ত্রীকে বিসিআই পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ হতে ফুলের শুভেচ্ছা এবং বিসিআইয়ের ‘আমার পণ্য আমার দেশ’ লোগো সম্বলিত একটি ফ্রেম উপহার দেওয়া হয়।
দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট জুনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘শিল্পের জন্য তারল্য সংকট যতটা ধারণা করা হচ্ছে ততটা থাকবে না। আমরা রপ্তানিমূখি শিল্পের জন্য দেশের বাইরের ফান্ডে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের একটা ফান্ড গঠন করার চেষ্টা করছি। আমরা পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঢাকা এবং ঢাকার আশেপাশের শিল্প এলাকার শিল্প শ্রমিকদেরকে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় এনে টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে পাঁচ থেকে ছয়টি নিত্যপণ্য দিতে চাই। এক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা দরকার হবে।’
সাক্ষাতকালে বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বিসিআই দেশের সকল শিল্পের উন্নয়নের পথে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা নিরসনে কাজ করে চলেছে। দেশের শিল্প খাত বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছে। উচ্চ মূদ্রাস্ফীতির কারণে পণ্যের চাহিদা কমায় সব প্রতিষ্ঠানের সেলস ড্রপ করেছে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহ তার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সক্ষমতায় চলছে। গ্যাসের চাপ কম, ঋণের উচ্চ সূদ হার প্রভৃতি কারণে ব্যাংক সমূহ প্রপার সাপোর্ট দিতে পারছে না। সবকিছু মিলিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দেশীয় শিল্প।’
আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেণ, ‘সরকারের প্রধান লক্ষ্য মূদ্রাস্ফীতি ছয় শতাংশ নিয়ে আসা। আমরা মনে করি, মূদ্রাস্ফীতির সময় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কর্মসংস্থান ধরে রাখা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতির কারনে ব্যাংক সমূহ বন্ডে বিনিয়োগের দিকে উৎসাহিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিবে। নতুন বিনিয়োগ আসবে না সাথে সাথে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে। আমাদের এখন বর্তমান শিল্প সমূহকে বাঁচিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি। আমরা আপনার কাছে অনুরোধ করবো যে, দেশের শিল্প সমূহের ক্যাশ ফ্লো যেন স্বাভাবিক থাকে। আর একটা বিষয় হচ্ছে, ইপিবি এবং এনবিআরের রপ্তানি তথ্যের মধ্যে একটি গড়মিল আছে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিসিআইয়ের সহ-সভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস, পবিচালক শহীদুল ইসলাম নিরু, ড. দেলোয়ার হোসেন রাজা, আবুল কালাম ভূঁইয়া প্রমুখ।