বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে হোন্ডার নতুন অধ্যায়
দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (বিএইচএল)। এই পদক্ষেপ স্থানীয় সরবরাহ বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং মোটরসাইকেল ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যেই দেশের মাটিতে তৈরি দুই চাকার এই যানবাহন রপ্তানি করে আন্তর্জাতিক সুনাম অর্জন করেছে বিএইচএল।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মোমেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড এর নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এমনটা জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্তা ব্যক্তিরা।
বিএইচএল'র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও শিগেরু মাতসুজাকি বলেন, বর্তমানে আমরা দুটি বিষয় মাথায় নিয়ে কাজ করছি। প্রথমত, স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি, দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের তৈরি হোন্ডা মোটরসাইকেল আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন। মূলত আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করা এবং মোটরসাইকেল ব্যবসার মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
তিনি বলেন, বিএইচএল সফলভাবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরীক্ষামূলকভাবে গুয়াতেমালায় এক্স-ব্লেড মডেলটি বিমান পথে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সফলতার প্রেক্ষিতে আজ সমুদ্রপথে আমাদের রপ্তানি যাত্রা শুরু হচ্ছে। ভবিষ্যতে দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা এবং আফ্রিকায় রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএইচএল এর চিফ প্রোডাকশন অফিসার, হিরোইকি ইয়াসুনাগা বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশি উৎপাদন দক্ষতা প্রদর্শন করতে পেরে গর্বিত এবং আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারে কঠোর মানদণ্ড পূরণকারী বিশ্বমানের মোটরসাইকেল উৎপাদনে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিএইচএল এর চিফ মার্কেটিং অফিসার শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের এই অংশগ্রহণ শুধু আমাদের ব্র্যান্ডের বৈশ্বিক সুনাম উন্নত করে না, বরং আমাদের স্থানীয় কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলোকে আরো দৃঢ় করে। আমাদের বৈশ্বিক দক্ষতা ও স্থানীয় বাজারের সম্ভাবনা বোঝার মাধ্যমে, আমরা বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত, সেইসঙ্গে বাংলাদেশের বাজারে প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবন চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিএইচএল-এর উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যের অস্থিরতা এবং কোম্পানিটির মৌলিক উপাদান আমদানি করার সীমাবদ্ধতার কারণে বাড়তি গ্রাহক চাহিদা পূরণে বাধা পাচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্টদেরকে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।