কিছুটা কমল ডিমের দাম, বেড়েছে মুরগির
বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছিল ডিম। সরকারের হস্তক্ষেপে দাম কিছুটা কমলেও এবার বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর কাওরানবাজার, শেওড়াপাড়া, তালতলা, জিগাতলা, যাত্রাবাড়ির বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
জিগাতলার বাজারে দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুমুখীর কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা। করলার কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, পটল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা ও বরবটি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙা ১২০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১২০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজি শিমের কেজি ৪৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ছোট আকারের বাঁধাকপি ৮০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা ও মুলা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৩০ থেকে ৬০ টাকা। ধনে পাতার কেজি ৬০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৮০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৮০ টাকা। বাজারে মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
লাল শাকের আঁটি ২৫ টাকা, লাউ শাক ৫০ টাকা, মুলা শাক ২৫ টাকা, কলমি শাক ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা, আদা ৩২০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা ও পুরোনো আলু ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কাওরানবাজারে মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ১০ টাকা বেড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ২৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩৩০ টাকা ও সাদা লেয়ার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১৬৫ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে মুরগির ডিম। আকারে কিছুটা ছোট ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। একেবারেই ছোট আকারের ডিমের ডজন ১৫০ টাকা। যদিও একদিন আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার এই দাম ছিলো ১৮০ টাকা পর্যন্ত। হঠাৎ দাম কমার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মাসুম মোল্লা বলেন, পাইকারি বাজারে দাম কম হওয়ায় তার কাছেও ডিমের দাম কমেছে। আজ আমার কেনা পড়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা ডজন করে৷ বড় সাইজগুলো আলাদা করে ১৬৫ টাকা ডজন বিক্রি করছি। তার চাইতে ছোটটা ১৬০ টাকা ডজন। একেবারে যেটা ছোট, সেটা ১৫০ টাকা ডজন বিক্রি করছি৷
বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ১৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা।
যাত্রাবাড়ি মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি এক হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা ও কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদির দোকানে দেখা গেছে, পাঁচ কেজি সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।