মার্চে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, এসেছে ৩২৯ কোটি ডলার

পবিত্র রমজানে প্রবাসী আয়ের পালে লেগেছে হাওয়া। সেই হাওয়ায় এবার চলতি বছরের মার্চে দেশে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে। মার্চে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার। মার্চ মাসে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে ১০ কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার মার্কিন ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মার্চ মাসে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আজ রোববার (৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রতিবারেই ঈদের আগে প্রবাসী আয় অন্য যেকোনো মাসের চেয়ে বেশি আসে। তবে এবার প্রবাসী আয় সবোর্চ্চ রেকর্ড গড়েছে। অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়ে তা অনেক বেশি। আগের বছরের (২০২৪ সাল) মার্চে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল ছয় কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৬১২ ডলার। এই সময়ের ব্যবধানে মার্চে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে চার কোটি ১৭ লাখ সাত হাজার ৩৮৮ ডলার বা ৬৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অন্যদিক চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার। মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল ৯ কোটি দুই লাখ ৭২ হাজার ৮৫৭ ডলার।
চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২০২৫) জুলাই থেকে মার্চ পর্ষন্ত প্রবাসী আয় এসেছে দুই হাজার ১৭৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) জুলাই থেকে মার্চ পর্ষন্ত প্রবাসী আয় এসেছে এক হাজার ৭০৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এই সময়ের ব্যবধানে প্রবাসী আয় বেড়েছে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২১ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছিল।
আগের বছরের (২০২৩ সাল) ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।