এখনো আবেদন করেনি দুই লাখ ৫১ হাজার ৯১৫ শিক্ষার্থী
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে প্রথম পর্যায়ে ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৭১৩ শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছে। তবে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ দুই লাখ ৫১ হাজার ৯১৫ শিক্ষার্থী প্রথম দফায় ভর্তি হতে আবেদন করেনি।
গতকাল ২০ আগস্ট রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এসব শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করে। গত ৯ আগস্ট সকাল ৭টা থেকে এ আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
এদের মধ্যে কারিগরি বোর্ড থেকে পাস করেছে ৯৫ হাজার ৮৯৫ শিক্ষার্থী। কারিগরি বোর্ডের অধীনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তিতে পৃথক আবেদন করতে হবে।
কারিগরির শিক্ষার্থী বাদে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬২৮ শিক্ষার্থী আবেদনের যোগ্য। তাদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে আবেদন করেছে ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৭১৩ জন। ফলে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ দুই লাখ ৫১ হাজার ৯১৫ শিক্ষার্থী প্রথম দফায় ভর্তি হতে আবেদন করেননি।
এর আগে গত ৯ আগস্ট থেকে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনটি পর্যায়ে এ ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৯ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীরা শুধু অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। এর মাঝখানে আগামী ১৫ আগস্ট আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনের সুযোগ থাকছে না। শিক্ষার্থীরা ১০টি কলেজ পছন্দ করতে পারবে। আবেদনের ক্রমানুসারে কলেজ নিশ্চিত করবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
তিনটি ধাপে চলবে ভর্তি প্রক্রিয়া
প্রথম পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ৯ আগস্ট থেকে আবেদন শুরু করার পর তা গতকাল ২০ আগস্ট শেষ হয়। তাদের ফল ঘোষণা করা হবে ২৫ আগস্ট রাত ৮টায়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ভর্তির আবেদন করা যাবে ৩১ আগস্ট থেকে আগামী ২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। এ পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত ৮টায়।
তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ শুরু হবে আগামী ৭ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর।
কলেজকেন্দ্রিক ভর্তির চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভর্তি প্রক্রিয়া হবে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা প্রকাশ হয় ৩১ মে। এবারের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এসএসসির ফল প্রকাশের পরও ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে পারছিল না আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। তবে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় অনলাইনে একাদশে ভর্তির কার্যক্রম শুরুর দিনক্ষণ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
যেভাবে আবেদন করতে হবে
www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এর আগে শিক্ষার্থীকে তার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের সাল উল্লেখ করে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য ১৫০ টাকা ফি জমা দিতে হবে টেলিটক, রকেট বা শিওরক্যাশের মাধ্যমে।
একদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে অনলাইনে একজন শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন পাঁচটি কলেজ এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পারবে। তবে একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিফট, ভার্সন বা গ্রুপে আবেদন করা যাবে। আবেদনের জন্য ১৫০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে। এ অর্থ নগদ, সোনালী ব্যাংক, টেলিটক, বিকাশ, শিওরক্যাশ বা রকেটের মাধ্যমে সার্ভিস চার্জসহ প্রদান করতে হবে।
অন্যান্য বিষয়
আবেদন ফি পরিশোধ করার সময় দেওয়া মোবাইল নম্বরটি যোগাযোগের নম্বর হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এ জন্য সব সময়ের জন্য সচল মোবাইল নম্বর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
এসএসসির জিপিএর ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড বলছে, একজন শিক্ষার্থীকে মেধা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোটা এবং পছন্দক্রম অনুযায়ী একটি কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হবে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থী নিজেই অনলাইনে বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি বাবদ ২০০ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চিত করবে। একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ দুবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাইগ্রেশনের জন্য বিবেচিত হবে, এ ক্ষেত্রে মাইগ্রেশন সব সময় শিক্ষার্থীর পছন্দ ক্রমানুসারে ওপরের দিকে যাবে।