চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী উপাচার্য নিয়োগ

ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে আসা বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও উপ-উপাচার্য ড. শিরীন আখতার উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রপতির এক আদেশে তাঁকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। দুপুরে তিনি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন।
আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১২ (২) ধারা অনুযায়ী ড. শিরীন আখতারকে উপ-উপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক শিরীন আখতার ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হলে গত ১৩ জুন তিনি উপ-উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি উপাচার্য হিসেবে রুটিন দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর এক বিবৃতিতে ড. শিরীন আকতার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক, নান্দনিক ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন জ্ঞান-গবেষণার তীর্থ কেন্দ্রে রূপান্তর করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে পালন করে যাবেন।
অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার ১৯৫৬ সালে কক্সবাজারের রামু উপজেলার একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর স্বামী মেজর (অব.) মো. লতিফুল আলম চৌধুরী। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। শিরীন আখতার ১৯৭৩ সালে কক্সবাজার সরকারি গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮১ সালে বাংলা সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯১ সালে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৬ সালে তিনি অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০১৬ সালে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে বাংলাদেশ সরকারের অনুসন্ধান কমিটির সদস্য ছিলেন শিরীন আকতার।