পরীক্ষার সময় রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংসতা ও হরতালের মতো কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আর পরীক্ষা নিয়ে কোথাও যেন কেউ গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে এবং এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আজ সোমবার শুরু হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। সূচি অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সেইসঙ্গে অভিভাবকরাও সন্তানদের সঙ্গে কেন্দ্রের বাইরে ভিড় জমাচ্ছেন।
এ বছর মোট ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৯ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এরই মধ্যে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পেছানোর কারণে পরীক্ষাও পিছিয়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড নিজ নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি নির্ধারণ করেছে।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। গতবারের তুলনায় এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী কমেছে ৮৭ হাজার ৫৩৪ জন। গত বছর থেকে চলতি বছর ৪৬ হাজার ৭৮ ছাত্র ও ৪১ হাজার ৪৭৬ জন ছাত্রী কমেছে।
নয়টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ পরীক্ষার্থী, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দুই লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ পরীক্ষার্থী, দাখিল ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এক লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ শিক্ষার্থী এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেছেন, পরীক্ষা উপলক্ষে কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোচিং সেন্টারগুলো এক মাস বন্ধ থাকবে। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী দেরি করে কেন্দ্রে এলে রেজিস্টারে নাম, ক্রমিক নম্বর ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।