‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত উৎকর্ষের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে’
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/03/12/d-u.jpg)
ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন নয়; বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত উৎকর্ষ যাতে হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অর্থাৎ গবেষণা, প্রকাশনা ও অনুবাদ এই তিনটি কাজকে উৎসাহিত করতে হবে। গবেষণা হতে হবে সৃজনশীল, উপকারী। তবে খুব বেশি করে দরকার হচ্ছে অনুবাদ।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মিলনমেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম শিক্ষার্থী মতিউল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ‘বাংলাদেশের পদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি নয় বছর ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ ছিলাম এবং সেই নয় বছর দেশে সামরিক শাসন ছিল। তখনও কিন্তু ছাত্র সংসদ ছিল। তারপর যখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এলো তখন থেকে আশ্চর্যের বিষয় ছাত্র সংসদ এর নির্বাচন থেমে গেল। ছাত্র সংসদের নির্বাচন ছিল উৎসব। সেখান থেকে মেধাবীরা বেড়িয়ে আসতো। মেধাহীন ছাত্ররা কখনো নির্বাচিত হতে পারতো না। চৌকস ছেলেরা নেতৃত্বে আসতো।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, দেশ থেকে মেধা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এতে যে শুধু সম্পদ ও পুঁজি চলে যাচ্ছে তা নয়, মানবিক সম্পদ চলে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পরে যে তরুণ শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলেন তারা অনেকেই বিদেশে চলে গেছেন আর ফেরত আসেননি। মেধাবীরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতে পারে এবং দেশে মেধার বিকাশ ঘটানোর পরিবেশ যাতে তৈরি হয়, সে কাজে মনোযোগী হওয়া এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের একটা বড় কর্তব্য হবে বলে আমি মনে করি।
এসময় আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, লেখক ও রাজনীতিবিদ ইনাম আহমদ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. হামিদা আক্তার বেগম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির, সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জামান দুদু। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ জন গুণিজনকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।