মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
সারা দেশে একযোগে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শুক্রবার। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার এক লাখ ২২ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে। সারা দেশে ৫৫টি সেন্টারে পরীক্ষা হবে। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পরীক্ষার আয়োজন করেছে। তিন ফুট দূরত্ব রেখে পরীক্ষার্থীরা বসবে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সেখানে সেনিটাইজার থাকবে। কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। নকলমুক্ত রাখতে পরীক্ষাকেন্দ্রে সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পরীক্ষার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই পরীক্ষার কেন্দ্রে কেন্দ্রে বিশেষ নিরাপত্তার সঙ্গে প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার বিষয়ে এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার ও কেন্দ্রের আশপাশের ফটোকপির দোকান বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব প্রতিরোধে মনিটরিং টিম কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন,‘এমবিবিএস একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। প্রতিবছর আমরা পরীক্ষাটি নিয়ে আসছি। অভিভাবকরা যাতে ভালো অবস্থায় থাকতে পারেন সে বিষয়গুলো আমরা নজরে এনেছি।’
পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের গুজব প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,‘আমাদের বিভিন্ন বাহিনীর কাছে বলেছি, যাতে গুজব না ছড়ানো হয়। যাতে ফেসবুকে নেতিবাচক গুজব না ছড়ানো হয়। সেটি দেখতে বলেছি। তারা বলেছে, সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। পরীক্ষার প্রশ্ন নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করবে তারা।’
পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধের কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,‘আমরা মনিটরিং সেল গঠন করেছি। কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেলে যোগাযোগ করা যাবে। এবং তারা সার্বিক ব্যবস্থা নেবে। কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হবে এবং কোনো ফটোকপি মেশিন কেন্দ্রের আশপাশে থাকতে পারবে না। তাহলে আমরা সুন্দরভাবে পরীক্ষা নিতে পারব, সফলতার সঙ্গে নিতে পারব। সুন্দরভাবে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা কাজ করব। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে এবং তারা সার্বিক বিষয়গুলো দেখবে। কোনো সমস্যা হলে ম্যাজিস্ট্রেটরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।’