যাত্রা শুরু করল দেশের প্রথম অনলাইন টিউটরিং প্ল্যাটফর্ম ‘দীক্ষা’
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/09/11/dikkhaa.jpg)
যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন ভার্চুয়াল শিক্ষামূলক টিউটরিং প্ল্যাটফর্ম ‘দীক্ষা’। অনলাইনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার দীক্ষার শুভ সূচনার ঘোষণা দেন নারী উদ্যোক্তা ও প্ল্যাটফর্মটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিনা খানম।
রিনা খানম বলেন, ‘করোনাকালে আমরা সবাই এখন অনলাইন ক্লাসের সঙ্গে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কুল—সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম এখন অনেক জনপ্রিয়। দীক্ষা সেরকমই একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। দীক্ষা আমাদের দেশের প্রথম অনলাইন ভার্চুয়াল ক্লাসরুম।’
রিনা খানম আরো বলেন, ‘ভাবলাম অনেক কিছুই তো আজকাল অনলাইনে হচ্ছে। তাহলে টিউশনও হয়তো অনলাইনে করা যাবে। টিউশন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে দেখলাম অনেক উন্নত দেশে এখন অনলাইন টিউশন বেশ জনপ্রিয়। এতে করে শিক্ষক বা শিক্ষার্থীকে কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। শিক্ষার্থীরা যে যার বাসায় থেকে যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে পড়তে পারে। আমার দীর্ঘ সময়ের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে শুরু করলাম। আমাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন আরো কিছু কর্মী মানুষ।’
দীক্ষার চীফ টেকনিক্যাল অফিসার রায়হান আল ইসলাম বলেন, ‘কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ছাত্র হিসেবে নতুন কোনো প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করার আগ্রহ আমার সবসময়ই ছিল। যেহেতু এটি একটি এডুকেশনাল প্ল্যাটফর্ম তাই আমরা বেছে নিয়েছিলাম ‘ওয়েভ’ মানে ‘হোয়াইট বোর্ড অডিও ভিডিও এনভায়রনমেন্ট টেকনোলজি’। বিশ্বের বিভিন্ন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সেগুলো থেকে ভালো ফিচারগুলো সংযুক্ত করার চেষ্টা করেছি। তা ছাড়া প্রতিনিয়ত আমরা চেষ্টা করছি নতুন প্রয়োজনীয় ফিচার সংযুক্ত করতে।’
রায়হান আল ইসলাম আরো বলেন, ‘দীক্ষা ক্লাসরুমকে বর্তমানে অনেকেই অনলাইন টিউটরিং প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করছেন। এর বাইরেও ট্রেইনিং, ইনডিভিজুয়াল কোর্স পরিচালনায় দীক্ষা ক্লাসরুমকে কাজে লাগানো সম্ভব।’
দীক্ষার অপারেশন টিমের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন ফেরদৌসি শান্তা। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রয়োজন ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা। দীক্ষা ভার্চুয়াল ক্লাসরুম হতে পারে একটি অন্যতম মাইলফলক।’
ফেরদৌসি শান্তা বলেন, ‘বর্তমানে সাড়ে চার হাজারের বেশি শিক্ষক দীক্ষার সঙ্গে যুক্ত। আমাদের অপারেশন টিম প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে যাচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এই কঠিন সময়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনলাইন সাপোর্ট দিয়ে যাওয়ার জন্য। তাঁদের আমরা সুযোগ করে দিচ্ছি স্টুডেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য এবং তাঁদের পড়ানোর জন্য। এতে তাঁরা যেমন তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছেন, ঠিক তেমনি তাঁদের একটি বাড়তি আয়ের সুযোগও তৈরি হয়েছে। আমাদের অনেক শিক্ষক অনলাইনে দেশের বাইরেও পড়াচ্ছেন, যার মাধ্যমে দেশে আসছে বৈদেশিক মুদ্রা।’
ফেরদৌসি শান্তা আরো বলেন, ‘দেশে এখন অনেক অনলাইন মিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার হয়, যার প্রয়োজনে দেশ থেকে বের হয়ে যায় আমাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা। দীক্ষার মতো একটি দেশীয় সফটওয়্যার যদি শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বত্র ব্যবহার করা যায়, তাহলে দেশ যেমন উপকৃত হবে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবেও স্বাবলম্বী হবেন আমাদের দেশের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।’
দীক্ষা-সংক্রান্ত সব তথ্য পাওয়া যাবে http://www.dikkha.com ওয়েবসাইটে।