রাজশাহী পলিটেকনিকে ক্লাস শুরু, সাত আসামির কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

দুই দিন পর ক্লাসে ফিরেছেন রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। গত শনিবার অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে দোষীদের বিচার দাবি করে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল অনেক কম। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ নেতারা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। এ কারণে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসেননি।
এদিকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব এস এম ফেরদৌস আলম জানিয়েছেন, অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গঠিত তিন সদস্যের কমিটির তদন্তকাজ শেষ হয়েছে। আজ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নয়জনকে আটক করলেও মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামির কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি জানিয়েছে পুলিশ।
মিডটার্ম পরীক্ষায় ফেল এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকায় দুজন শিক্ষার্থীকে ফাইনাল পরীক্ষায় ফরম পূরণের দাবি নিয়ে রাজশাহী পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতাকর্মী অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে। অধ্যক্ষ তাদের দাবির মেনে না নিলে দুপুরে তাকে লাঞ্ছিত করার পর টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পাসের ভেতরের একটি পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় রাতে মামলা করেন অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ। এতে সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত রাজশাহী পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।