রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পাঁচ বছরের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৯ সালে তৎকালীন অধ্যক্ষকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টেনেহিঁচড়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেন। এর জেরে প্রতিষ্ঠানটির নতুন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুর রশীদ মল্লিক গত ৭ জানুয়ারি এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করেন।
২০১৯ সালের ২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানের তৎকালীন অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহমেদকে প্রকাশ্যেই লাঞ্ছিত করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শত শত শিক্ষার্থীর সামনেই অধ্যক্ষকে তারা ক্যাম্পাসের ভেতরের একটি পুকুরে টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার ভিডিওচিত্র সে সময় দেশব্যাপী সমালোচিত হয়।
প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুর রশীদ মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০১৯ সালের ২ নভেম্বর ক্যাম্পাসে সংঘটিত ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে পাঁচ বছরের জন্য প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সব ধরনের ছাত্র রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণার প্রতি সবাইকে সচেতন থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’
অধ্যক্ষের এই বিজ্ঞপ্তি ছাত্রসংগঠনের নেতারা ফেসবুকে শেয়ার করছেন।
শ্রেণিকক্ষে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপস্থিতি না থাকায় তাদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেননি সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেন। এ ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন অধ্যক্ষ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের নেতাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে চার ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।