রাবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে লাঞ্ছিত করে তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহার বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে হলে ওই ছাত্রলীগনেতার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
ভাস্কর সাহা রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী বলে জানা গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের এবং মতিহার হলের ১৩২ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সামছুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও মতিহার হলের ১৫৯ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।
লিখিত অভিযোগে সামছুল বলেন, ‘আমি পড়াশোনার পাশাপাশি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি এবং পরিবার চালাই। গত ১৫ আগস্ট মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা আমাকে ফোন দিয়ে দেখা করার কথা বলেন। তাঁর কাছে গেলে তিনি চাঁদা দাবি করেন। এরপর টাকার জন্য প্রতিনিয়ত ফোন দেন এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। অর্থ দিতে অক্ষম হওয়ায় গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় রুমে ডেকে নিয়ে আমার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে আনুমানিক ২০ হাজার টাকা কেড়ে নেন এবং আরও ছয় হাজার টাকা দাবি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের জানানোর কথা বললে আমাকে রড এবং স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটান তিনি। এ ছাড়া কাউকে জানালে বুয়েটের আবরার ফাহাদের যে অবস্থা হয়েছে, তেমন হবে বলে হুমকি দেন। রাত ১১টার মধ্যে আরও ছয় হাজার টাকা না দিলে হল থেকে বের করার হুমকিও দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মতিহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে আমার এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি জানি, তিনি আমার হলে মোবাইল সার্ভিসিং করেন। মোবাইল ঠিক করার জন্য আমার দুই ছোট ভাই তাঁকে ফোন দেওয়ার কথা বলে। পরে সে বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘বিষয়টি আমরা দেখছি, সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’