রাবি ভিসি কোন কর্তৃত্ববলে পদে, হাইকোর্টের রুল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান কোন কর্তৃত্ববলে পদে বহাল রয়েছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাবির ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে রাবি ভিসির পদে থাকার বৈধতা নিয়ে রিট করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ছাত্র সালমান ফিরোজ ফয়সাল।
গত ১৫ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের অপসারণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। অসত্য তথ্য দিয়ে পুনরায় ভিসি পদে নিয়োগ ও স্বপদে থাকার অভিযোগ এনে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সালমান ফিরোজ ফয়সালের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ড. এম. আব্দুস সোবহান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ২০১৭ সালের ৭ মে চার বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পান। ওই দিনই তিনি দায়িত্ব নেন। এরপর একই বছরের ২১ জুন তিনি উপাচার্যের পদে থেকে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। আবার ওই দিনই তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। ফলে উপাচার্যের পদে সাময়িক শূন্যতা সৃষ্টি হয়। পরে উপাচার্য পদে সাময়িক শূন্যতা পূরণ করতে তিনি রাষ্ট্রপতির অনুমতি ছাড়াই এক দিনের জন্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আখতার ফারুককে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগ দেন, যা ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের পরিপন্থী। নোটিশের জবাব না পাওয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।