রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধর ও নথি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এফ এম আলী হায়দারের বিরুদ্ধে রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্সেসের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমানকে মারধর, অফিসের নথিপত্র ও অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর মতিহার থানায় অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান এ অভিযোগ করেছেন।
আজ বুধবার বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি বলে জানা গেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এফ এম আলী হায়দার ও নাটোরের সিংড়ার মুকুলসহ চার থেকে পাঁচজন বহিরাগত দুপুর আড়াইটার দিকে ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্সেসের সেমিনার কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় পরিচালনা পর্ষদের সভায় সভা চলছিল। সেখানে অনধিকার প্রবেশ করে রেজুলেশন বহিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিনিয়ে নেয়। এতে বাধা দিলে তারা ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের সামনেই অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে আহত করেন। এ সময় তারা অধ্যক্ষকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। আত্মরক্ষার্থে অধ্যক্ষ সেমিনার কক্ষের বাইরে গেলে মুকুলসহ অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজন আবারও অধ্যক্ষের ওপর চড়াও হয়।
তারা অধ্যক্ষের জামার পকেটে এবং অফিস থেকে ইনস্টিটিউটের নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এফ এম আলী হায়দার বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। আমার আর্থ্রাইটিসের সমস্যা ঠিকমতো চলতে পারি না। আমি কিভাবে ওকে মারধর করব? অভিযোগে হাফিজুর রহমান নিজেকে অধ্যক্ষ হিসেবে দাবি করেছেন। কিন্তু ওই ইনস্টিটিউটের বর্তমান অধ্যক্ষ শামিমা বেগম। হাফিজুর অধ্যক্ষ সেজে বসে আছেন।’
অধ্যক্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শামিমা বেগম ভারপ্রাপ্ত হিসেবে ছিলেন। অনেক আগেই আমাকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট থেকে এটা এখনও পরিবর্তন করা হয়নি।’
অভিযোগের বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে, অধ্যক্ষের সরবরাহকৃত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই থেকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট অধ্যাপক এফ এম আলী হায়দারকে ইনস্টিটিউট বায়োসায়েন্সের অবৈতনিক পরিচালক থাকার অনুমতি দিয়েছে।