‘শিশুদের জন্য বই পড়াকে আনন্দময় করে তুলতে হবে’
‘পাঠাগার হলো যেখানে হাজার বছরের মানুষের সঞ্চিত জ্ঞান নিশ্চুপ হয়ে আছে, আমরা পড়ব সেই অপেক্ষায়। এ বই কাউকে বিরক্ত করে না। শুধু কষ্ট করে তাকে পড়তে হয়, তার কাছ থেকে নিতে হয়।’ গতকাল শুক্রবার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি পাঠাগারের নতুন কক্ষ উদ্বোধনের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উদ্ধৃত করে এসব কথা বলেন লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। তিনি আরো বলেন, ‘শিশুরা খেলাধুলা করতে পছন্দ করে, সংগীত পছন্দ করে। কিন্তু আমরা তাদের জন্য সেগুলোর ব্যবস্থা করি না। শিশু-কিশোরদের বই পড়ানো দরকার বলে তাদের মাথার ওপর বই চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। বই পড়াটাকে আনন্দময় করা দরকার।’
রাজধানীর নাখালপাড়ায় ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি পাঠাগার’ আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে পাঠাগারের সাবেক সদস্য, নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও উপস্থিত ছিলেন। পাঠাগারের সদস্যদের উদ্দেশে ফারুকী বলেন, ‘আমাদের পাড়ার এ পাঠাগার যে এখনো টিকে আছে, সেটাই আমাদের গর্ব। আমরা সবাই মিলে এটাকে আরো সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করব।’ তিনি যোগ করেন, “এখন ফেসবুকের এই আসক্তির যুগে কিছু ছেলেমেয়ে যে এখনো শুধু ‘বুক’ বা বই পড়ে, সেটাই একটা বিপ্লব। এই বিপ্লবটাকে আরো বড় করতে হবে, ছড়াতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক মুহিউদ্দিন আহমেদ, পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য শিক্ষক জেবুননেসা হেলেন, পাঠাগারের সাবেক সভাপতি ডা. জহিরুল ইসলাম ও আল-হোসাইন চিশতী, পাঠাগারের উপদেষ্টা মসিউল হক মনা, পাঠাগারের বর্তমান সভাপতি আলী মো. আবু নাঈম।
নতুন কক্ষের উদ্বোধন ছাড়াও পাঠাগারে একটি কম্পিউটার, দুটি বইয়ের তাক, একটি টেবিল ও পাঁচশর বেশি বই নতুন যোগ হয়েছে। বক্তাদের আলোচনার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় পাঠাগারে।