সেরা ২০
রাজশাহীতে শীর্ষে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় ফলাফলের দিক দিয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সবচেয়ে এগিয়ে। এবার এ বোর্ডে প্রথম হয়েছে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। স্কুলটির ৩৪২ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করছে। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩২০ জন শিক্ষার্থী।
এর পরেই রয়েছে বগুড়া জিলা স্কুলের অবস্থান। এ স্কুলেও পাসের হার শতভাগ। ২৪২ জন শিক্ষার্থীর ২১৯ জনই জিপিএ ৫ পেয়েছে।
রাজশাহী বোর্ডে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ। এখান থেকে ৫৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়েছিল। ৫৬ জনই জিপিএ ৫ পেয়েছে।
এরপরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পাবনা ক্যাডেট কলেজ, রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বগুড়ার বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজশাহীর সরকারি পি এন গার্লস হাই স্কুল।
এ ছাড়া বগুড়ার এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজ আছে দশম স্থানে। এর পরের অবস্থানে আছে রাজশাহীর গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, পাবনা জিলা স্কুল, নওগাঁর গবর্নমেন্ট কে ডি হাইস্কুল, বগুড়ার পল্লি উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়ার আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল, পাবনার আল-হেরা একাডেমি, জয়পুরহাটের আর বি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নাটোরের কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল।
এ বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৯৭ ভাগ। সেদিক থেকে এ বছর এসএসির ফলাফলের দিক থেকে এগিয়ে আছে এ শিক্ষা বোর্ড। আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। এ শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৮১.৮২ ভাগ।
এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ বোর্ডের গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৯০১ জন শিক্ষার্থী।
গণভবনে সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ ৫ দুই-ই কমেছে। তবে মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার বেড়েছে। মাদ্রাসা বোর্ডে গড় পাসের হার ৯০ দশমিক ২০ শতাংশ ও কারিগরি বোর্ডে ৮৩ দশমিক ০১ শতাংশ।
এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৭৩ হাজারের কিছু বেশি। পাস করেছে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন। এ ছাড়া পাঁচ হাজার ৯৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে।