রোববারের এসএসসি পরীক্ষা শুক্রবার
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/14/photo-1423914681.jpg)
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের হরতালের কারণে আগামীকাল রোববারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাটি আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর হেয়ার রোডের বাসায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে দুপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রোববার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে আবার ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে ২০-দলীয় জোট।
রোববার এসএসসি পরীক্ষার গণিত (আবশ্যিক), দাখিলের ইংরেজি প্রথম পত্র (শুধু অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে), এসএসসি ভোকেশনাল রসায়ন বিজ্ঞান-২ (১৯২৬) (সৃজনশীল), রসায়ন বিজ্ঞান-২ (৮১২৬) (সৃজনশীল/সাধারণ) এবং ভোকেশনাল দাখিলে রসায়ন বিজ্ঞান-২ (১৭২৬) (সৃজনশীল) এবং রসায়ন বিজ্ঞান-২ (৮৫২৬) (সৃজনশীল) বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষার চেয়েও পরীক্ষার্থীদের জীবন আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
আগামী বুধবারও এসএসসি পরীক্ষা রয়েছে, যা সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়ার কথা। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতাল ডেকেছে। ফলে ওই দিনের (বুধবারের) পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। আমরা বিএনপি জোটের কাছে আগেও অনেক অনুরোধ করেছি, এবারও আমরা করজোড়ে অনুরোধ করছি, অন্ততপক্ষে ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে বাকি পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সুযোগ করে দেবে। এই অনুরোধ শুধু বিএনপির প্রতিই নয়, একই অনুরোধ করছি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি। আপনারা দয়া করে পরীক্ষার পরিবেশ তৈরি করে দিন।’
পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন হওয়ায় যথাসময়ে ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা শেষে চেষ্টা করব, যাতে অল্প সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা যায়।’
হরতাল-অবরোধের কারণে ছাত্রছাত্রীদের একাডেমিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ছুটির দিনে ক্লাস নেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে সামনে চিন্তা-ভাবনা করা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রয়োজনে একাডেমিক ক্যালেন্ডারেও পরিবর্তন আনা হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।