হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে রাতভর নারীদের অবস্থান
গভীর রাতে পুলিশ-ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন নারী আন্দোলনকারীরা।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত তাঁদের টিএসসিতে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের সংখ্যা ছিল প্রায় চারশ।
এ সময় তাঁরা প্রশ্ন করেন, ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন? এবং তারা কেন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে?’
তবে ছাত্রীদের এই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি প্রশাসন।
কয়েকজন নারী আন্দোলনকারীর সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, তাঁরা কোটা সংস্কারের দাবিতে এসেছিলেন। পুলিশ তাঁদের ওপর হামলা করেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ছাত্রলীগ। পুলিশ ও ছাত্রলীগের যৌথ হামলায় প্রায় ২০-২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
তাঁরা আরো বলেন, পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পর নারী আন্দোলনকর্মীরা টিএসসির ভেতরে প্রবেশ করলে তাঁদের কয়েকজন আহত হন।
তবে ভোর ৬টার দিকে প্রক্টর ও মেয়েদের হলের প্রাধ্যক্ষরা এলেও তাঁরা হলে যাননি।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা তাদের হলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। কিন্তু তারা কেন যাচ্ছে না, বুঝতে পারছি না।’
শুধু টিএসসি নয়, পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলে বাংলা একাডেমিতে আশ্রয় নেয় জগন্নাথ হলের তিনজন ছাত্র ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের দুজন ছাত্রী। প্রক্টর ভোর ৬টার দিকে তাদের উদ্ধার করে হলে পাঠিয়ে দেন।
তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে আশ্রয় নেন বিভিন্ন হলের প্রায় ৭০ জনের মতো নারী আন্দোলনকারী। সকাল হলে তাঁরা নিজ নিজ হলে চলে যান।