অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্বজনরা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে ‘মুকুল মঞ্চে’ এক প্রতিবাদী সমাবেশ থেকে তাঁরা এ দাবি জানান। ইংরেজি বিভাগ এ প্রতিবাদী সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামি ক্রসফায়ারে মারা গেছে বলে আমরা শুনেছি। কিন্তু তারা সত্যিই অপরাধী ছিল কি না, তা জানা নেই। আদালতের বিচারে যারা অপরাধী প্রমাণিত হবে, শুধু তারাই যেন শাস্তি পায়।’ সমাবেশে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এ এফ এম মাসউদ আখতার অপরাধীদের বিচার করে দ্রুত শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে সকাল ১০টায় বিভাগের সামনে থেকে এক মৌন মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফের সেখানেই সমাবেশ করে। এতে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক শহীদুর রহমান, সহযোগী অধ্যপক শেহনাজ ইয়াসমীন, আবদুল্লাহ আল মামুন, রুবাইদা আখতার, মোমিনুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক রেজাউল করিমের দুই সন্তানসহ তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৮ মে অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হবে। গত ১১ এপ্রিল রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক শিরীন কবিতা আখতার মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী মহানগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসার অদূরে রাবি ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে ওই দিন বিকালে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন।