জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত শহীদ মিনার ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে নোমান ও জোবায়ের আল মাহমুদ নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন।
ভর্তি ইচ্ছুক এক শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য ও ক্যান্টিনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক শাখার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা থেকে আসা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এক পরীক্ষার্থীকে র্যাগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। তারই জের ধরে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সমাজকর্ম বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের অনুসারী নোমাককে সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন রাসেলের কর্মীরা মারধর করেন। মারামারির একপর্যায় নোমানের মাথা ফেটে যায়। পরে দুপুর ১টার দিকে সভাপতি পক্ষের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী জোবায়ের আল মাহমুদকে মারধর করেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
এদিকে, দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত শহীদ মিনার ভাঙচুর করেন জবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল ভর্তি ইচ্ছুক এক শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আবার সেটা মীমাংসা হয়ে গেছে।
মারামারির ঘটনার বিষয়ে জবির সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, নোমান নামের এক শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত শহীদ মিনার ভাঙচুর করার বিষয়ে সহকারী প্রক্টর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত সব কিছুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ নষ্ট করলে তারা কখনই ছাড় পাবে না। যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।