ঢাবি ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
ছিনতাইয়ের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান। তিনি বলেন, ‘ছিনতাই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশ তাঁদের আটক করে। তাঁদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন।’
মামলার আসামিরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের ছাত্র এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নাফিউর রহমান এবং একই হলের ছাত্রলীগকর্মী কামরুল হাসান এবং মিনহারুল বাশার আবির। পলাতক আছেন বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জর্জ। অভিযুক্তরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
মামলার এজাহারে ঠিকাদার ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৯ নং ওয়ার্ডের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, ‘আমি বায়তুল মোকাররম থেকে মগবাজারে অবস্থিত হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে যাওয়ার পথে রমনা কালী মন্দিরের সামনে এলে অভিযুক্তরা আমার পথ অবরোধ করে দাঁড়ায়। তারা আমার কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা এবং স্যামসাং জে-২ মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।’
ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্তরা নানা রকমের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাকে মারধর করে এবং গুম করার হুমকি দিয়ে রিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে আমি চিৎকার করি। পরে পুলিশ এসে আমাকে সাহায্য করে। সেখান থেকে পুলিশ তাঁদের তিনজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। জর্জসহ অজ্ঞাতরা পালিয়ে যায়।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যায় না। তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’
জানা যায়, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য জর্জ হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ইউনুছের অনুসারী। জানতে চাইলে আবু ইউনুছ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আগে সে আমার রাজনীতি করত। এখন কী করে জানি না।’ অন্যদিকে, জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী মিনহারুল বাশার আবির হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী রিফাত উদ্দিনের অনুসারী। অভিযোগের বিষয়ে রিফাত উদ্দিন বলেন, ‘সে আমার রাজনীতি করে। অনেক আগে হলের সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার তাকে আমার গ্রুপে দেয়। তবে তার অপরাধের দায়ভার আমি নিতে পারব না। তাকে সাজা দেওয়া হোক।’
অভিযোগের বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কোনো অপরাধীর ছাত্রলীগে ঠাঁই নাই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।