শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য পদ প্রদান

অধিকাংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আজীবন সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে। যদিও এতে আপত্তি দিয়েছেন ডাকসুর ভিপি নূরুল হক নূর ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।
এ ছাড়া ডাকসুর বার্ষিক বাজেট এক কোটি ৮৯ লাখ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমার ব্যাপারে অঙ্গীকার এবং ক্যাম্পাসে গণপরিবহন ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণে পলিসি ডায়ালগের আয়োজন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। এতে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ বাকি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ডাকসুতে প্রধানমন্ত্রীর আজীবন সদস্য পদের বিষয়টি এজেন্ডা হিসেবে ছিল। সভায় বিষয়টি উত্থাপন করলে ডাকসুর ভিপি নুর ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন এর বিরোধিতা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ডাকসুর গঠনতন্ত্রে আজীবন সদস্য পদ প্রদানের এমন কোনো নিয়ম নেই। তবু ছাত্রলীগ ডাকসুতে সংখ্যাগরিষ্ঠের জেরে এটা পাস করায়। আমাদের বক্তব্য হলো এমন একটি অনিয়মের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন সদস্য পদ দেওয়া হলে প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মানিত করা হবে। এই জন্য ডাকসুতে গৃহীত প্রস্তাবনায় আমি সই করিনি।
এ বিষয়ে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, যেহেতু ডাকসু একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, তাই সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। কিন্তু আমরা বিরোধিতা করেছি এই জায়গা থেকে, যেহেতু ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। এমন নির্বাচনে উনার মতো একজন সম্মানিত মানুষকে সদস্য পদ দেওয়া ঠিক হবে না। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমরা একমত ছিলাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে সদস্য পদ প্রদানের বিষয়টি আগেই ছিল। আজ উত্থাপন করার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পাস হয়।