ঢাবিতে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ছাত্রদলের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ নেতাকর্মী লাঠি, রড ও ইট নিয়ে এ হামলা চালায় বলে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
প্রথমে ঢাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এবং সাড়ে ১২টার দিকে টিএসসিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আনিসুর রহমান ও আফসার মোল্লা নামের দুই সাংবাদিক আহত হন। আনিসুর রহমানের কান দিয়ে রক্ত পড়ছে। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় আনিসুরের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে হামলায় অংশগ্রহণ করেন এফ রহমান হলের আপেল মাহমুদ, জসীম উদদীন হল ছাত্রলীগের কর্মী মহসিন আলম তালুকদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী সূর্য সেন হলের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ শরিফুল ইসলাম শপু, সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাইসুল ইসলাম, সূর্য সেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান খান সোহান, জগন্নাথ হল সংসদের জিএস কাজল সরকার ও জসীম উদদীন হল সংসদের জি এস ইমামুল হাসান।
ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, তাঁদের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হামলায় ছাত্রদলের আহতরা হলেন ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শাহনেওয়াজ, ঢাবি ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম সোহেল তাজ, সূর্য সেন হলের ফিরোজ আলম, ফজলুল হক হলের মাসুম, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের মাহবুব শাহিন, জিয়াউর রহমান হলের কামরুল ইসলাম, কবি নজরুল কলেজের ফাহিম, রুবেল, ঢাকা কলেজের ইকরামুল হক নয়ন, অর্নব, সজল ও মশিউর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাবি গ্রন্থাগারের সামনে একটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। এ সময় ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এসে তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কেন যেতে হবে জানতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে মারধর করা হয় এবং তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় সনজিতের সঙ্গে থাকা লোকজন।
এ সময় কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল দাবি করেছেন, তাঁদের এক নেতার একটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর আমার নেতৃত্বে হামলা হয়নি। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।’