‘লেখক-শিল্পীকে হত্যা করা যায় না’
‘একজন লেখক বা শিল্পীকে হত্যা করে কোনো কিছুকে হত্যা করা যায় না। কারণ তাদের কণ্ঠস্বর কখনোই স্বব্ধ হয় না। সেই সব কথা থেকে যায় লাখ লাখ পাঠকের মনে।’
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে মুঠোফোনে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশে এসব কথা বলেন চলচ্চিত্রকার নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। আজ বুধবার বেলা ১১টায় রাবি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, হাসান আজিজুল হক তাঁর লেখনীর মধ্য দিয়ে ধর্মান্ধ মৌলবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন এবং সমন্বয় বন্ধুত্বের ও সাম্যের বাংলাদেশের কথা বলেছেন। আর সেই কথাগুলো লাখ লাখ পাঠকের মননে গেঁথে আছে। একজন কিংবা দশজনকে হত্যার মধ্য দিয়ে এবং ব্লগারের নাম করে এ দেশের তরুণসমাজকে হত্যা করে তারা কখনই সফল হতে পারবে না।
‘হাসান আজিজুল হক শুধু বাংলাদেশের নয় বরং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন কথাশিল্পী। তাঁর লেখনী শুধু বাংলা ভাষাকে নয়; বাংলা সংস্কৃতিকে একটি উচ্চতর স্থানে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই গৌরবকে ধ্বংস করার জন্য জঙ্গিবাদী জামায়াত-শিবির তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। কিন্তু তারা কতজনকে হত্যা করবে?’, প্রশ্ন তোলেন এ চলচ্চিত্রকার।
মানববন্ধনে রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জীবন দিতে আমরা দ্বিধাবোধ করব না। আমরা লড়াই করব এবং আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে, বাংলাদেশের মাটিতে এই জঙ্গিবাদীদের কবর রচনা হবে। বাংলাদেশের মাটিতে যেমন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবর রচনা হয়েছে, তেমন এই হানাদারদেরও আমরা কবর রচনা করব।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘আশা করব, এই মতিহারের সকল তরুণ সম্প্রদায় সবাই ঐক্যবদ্ধ হবে। তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দীপ্ত হলে সমস্ত জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী এবং বাংলাদেশবিরোধী শক্তিদের আমরা পরাভূত করতে পারব।’
এ সময় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, রাবি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি দেবশ্রী মণ্ডলসহ বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।