জাবিতে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিচার দাবিতে মশাল মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদর দ্রুত বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার দাবিতে মশাল মিছিল করেছ শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মশাল মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে থেকে শুরু হয়ে ট্রান্সপোট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পর সেখান সংক্ষিপ্ত সমাবশের মাধ্যমে শেষ হয় মশাল মিছিলটি।
এদিকে সকালে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশন। সকালে ঢাকা জেলা কমিটির সদস্যরা শহীদ মিনারের সামনে অংশ নেন মানববন্ধনে।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কেন এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে সেটি খতিয়ে দেখতে ইউজিসির সদস্য ড. মো. আবু তাহেরের নেতৃত্বে দুপুরে ক্যাম্পাস পরিদর্শনে যান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠিত তদন্ত কমিটি।
এদিকে নতুন করে আরও দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করে পুনর্গঠন করা করেছে তদন্ত কমিটি। রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিসে এ তথ্য জানানো হয়।
তদন্ত কমিটির নতুন দুই সদস্য হলেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া ও যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের সভাপতি লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবউননেছা।
এ দিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতে পাঠানো হয় ধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের সাগর সিদ্দিকী ও হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসানকে। শুনানি শেষ প্রত্যেকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
সর্বশেষ পলাতক আসামি ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ হোসেন ও মামুনুর রশিদ ওরফে মামুনকে গ্ৰেপ্তার করে র্যাব। এ নিয়ে অভিযুক্ত ছয় আসামির সবাই ধরা পড়ল। মামুনুর রশিদ ওরফে মামুনকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে এবং মুরাদ হোসেনকে নওগাঁ থেকে ধরা হয়।
এদিকে আটক দুই জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত গ্রাম। এদের মধ্যে মুরাদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক।
এ বিষয়ে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হিসেবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাব বলেছে, মামুনুর রশিদ ওরফে মামুনক সেই ‘ধর্ষণের ঘটনায়’ মূল পরিকল্পনাকারী আর মুরাদ ছিলেন তার সহায়তাকারী।