স্মারকে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি, সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব ফয়েজ আহম্মদের সই করা প্রজ্ঞাপনে কোটা বাতিল করা হয়েছিল। যদিও সেখানে উল্লেখিত বিষয় নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে ২০১৯ সালের ৩০ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফের স্পষ্টিকরণ প্রজ্ঞাপন জারি করে। আর এ বছরের চলতি মাস জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সে হিসেবে কোটাবিরোধীতায় ছিলেন তারা। তবে, গত কয়েক দিন থেকে কিছু ক্ষেত্রে কোটা রেখে বাকি সব ক্ষেত্রে মেধা ভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়ে আছেন আন্দোলনরতরা। আজ রোববার (১৪ জুলাই) তাদের দাবিগুলো তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি মেনে নিতে এবং মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বলেছি কোটা বাতিল করে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আমরা পদযাত্রা সফল করেছি। আমরা সরকার থেকে এখনও আশ্বাস পাচ্ছি না। কোটা সংস্কারের এখতিয়ার সরকারের। কিন্ত, সরকার এড়িয়ে যাচ্ছে।
এর আগে বিকেল ৩ টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, সার্জিস আলম, আরিফ হোসেন, হাসিব আল ইসলাম, উমামা ফাতেমা, রিফাত রশিদ, সুমাইয়া, আব্দুল হান্নান মাসুদ, মো. মাহিন সরকার, আব্দুল কাদের ও মেহেরান নিসা।