কুসিক নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত : এসপি ফারুক
কুমিল্লা সিটি (কুসিক) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ। একই সঙ্গে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে ভোট স্থগিতের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
কুমিল্লা স্টেডিয়ামে পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ সকাল সোয়া ১১টায় পুলিশ সদস্যদের ব্রিফের সময় এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেছেন, কুসিক নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে। কোনো কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে ভোট স্থগিত করা হবে।
কুসিক নির্বাচন আগামীকাল বুধবার। এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে ভোটকেন্দ্রসহ সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১২টা থেকে বন্ধ করা হয়েছে সব ধরনের প্রচারণা। খাদ্য ও চিকিৎসাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ছাড়া বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব প্রতিষ্ঠান। শুরু হয়েছে কুসিকে ভোটের কাউন্টডাউন।
কুসিক নির্বাচনে এবার মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে আছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও কুসিকের সদ্য বিদায়ী সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন দেয়াল ঘড়ি নিয়ে।
এ ছাড়া মেয়র পদে মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সারের প্রতীক ঘোড়া। আরেক সতন্ত্র প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম হাতপাখা ও কামরুল আহসান বাবুল হরিণ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণার শেষ পর্যন্ত সরব ছিলেন।
গত ২৫ এপ্রিল সোমবার কুসিকের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ১৭ মে, মনোনয়ন বাছাই ১৯ মে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ২৬ মে ধার্য করা হয়। এ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় ২৭ মে।
গত ১৯ মে প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের পর রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী ছাড়াও কাউন্সিলর পদে ১২০ জন, আর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৮ জনকে মনোনয়নের বৈধতা ঘোষণা করেন।
এই নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে ১০৫টি ভোট কেন্দ্রে ৬৪০টি বুথে দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।