মার্কিন দূতাবাসে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ হিরো আলমের
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে অভিযোগ জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ও তার ওপর হামলার বিবরণ দিয়েছেন। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন হিরো আলম।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) নিজের নির্বাচনী কার্যালয়ে হিরো আলম সাংবাদিকদের চিঠির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার ওপর হামলা করেছিল। আমি এ বিষয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে ই-মেইলে একটি চিঠি দিয়েছি। তারা আমার ই-মেইল গ্রহণ করে একটি আমার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। যে কোনো সমস্যা হলে দূতাবাসকে জানাতেও বলেছে।’
হিরো আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন বুঝে গেছে, তারা আমার সঙ্গে জিততে পারবে না। এজন্য তারা আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করেছে।’
হিরো আলম চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমি আশরাফুল হোসেন আলম আগামী ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। এর আগে ১৬ জুন আমি আপনাদের জানিয়েছিলাম, আমি ভয় পাচ্ছি যে, নির্বাচন কমিশন আমার নমিনেশন প্রত্যাখ্যান করবে। তারা শেষ পর্যন্ত তাই করেছিল। তবে, পরে আমি আপিল করে নমিনেশন ফেরত পেয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের কাছে আমার পাঠানো মেইল তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
হিরো আলম বলেন, ‘সম্প্রতি সাততলা বস্তি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার সরাসরি নির্দেশে আমি ও আমার অনুসারীদের ওপর হামলা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে কোনো ফলাফল ছাড়াই আমাকে ফিরতে হয়।’
হিরো আলম ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে বলেন, ‘অন্য কোনো উপায় না থাকায় আমি আপনাদের জানানো ও বিবেচনার স্বার্থে এই চিঠি লিখেছি।’
জানা গেছে, গত বুধবার (৫ জুলাই) মহাখালীর সাততলা বস্তিতে প্রচার চালাতে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম ও তার কর্মী সমর্থকদের প্রথমে বাধা প্রদান ও পরে মারধর করা হয়। এ ব্যাপারে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।