নারায়ণগঞ্জের পাঁচ আসনে ৪৫ মনোনয়নপত্র জমা
নারায়ণগঞ্জে পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ৪৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ১০ জন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে ছয়জন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ১৩ জন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ১১ জন ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হক জানান, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন–গোলাম দস্তগীর গাজী (আওয়ামী লীগ), তৈমুর আলম খন্দকার (তৃণমূল বিএনপি), শাহাজাহান ভুইয়া (স্বতন্ত্র), গাজী গোলাম মর্তুজা (স্বতন্ত্র), মো. হাবিবুর রহমান (স্বতন্ত্র), মো. জোবায়ের আলম (স্বতন্ত্র), মো. সাইফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এ কে এম শহিদুল ইসলাম (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ) ও আফাজউদ্দিন মোল্লা (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হক জানান, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন। তারা হলেন–নজরুল ইসলাম বাবু (আওয়ামী লীগ), মো. আবু হানিফ হৃদয় (তৃণমূল বিএনপি), শাহজাহান (জাকের পার্টি), আলমগীর সিকদার লোটন (জাতীয় পার্টি), মো. শরিফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) ও মামুন দিদার (স্বতন্ত্র)।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হক আরও জানান, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৩ জন। তারা হলেন–আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত (আওয়ামী লীগ), মারুফ ইসলাম ঝলক (আওয়ামী লীগ), লিয়াকত হোসেন খোকা (জাতীয় পার্টি), এরফান হোসেন দীপ (স্বতন্ত্র), নারায়ণ দাস (বিকল্প ধারা বাংলাদেশ), মো. মজিবুর রহমান (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), আসলাম হোসেন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মো. জামিল মিজি (জাকের পার্টি), রুবিয়া সুলতানা (স্বতন্ত্র), এ বি এস ওয়ালিউর রহমান খান (বিএনএম), এ এইচ এম মাসুদ (স্বতন্ত্র), সিরাজুল হক (কংগ্রেস) ও মো. আরিফ (মুক্তি জোট)।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১১ জন। তারা হলেন–এ কে এম শামীম ওসমান (আওয়ামী লীগ), মো. রাশেদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মো. আলি হোসেন (তৃণমূল বিএনপি), মো. মুরাদ হোসেন জামাল (জাকের পার্টি), মো. ছালাউদ্দিন খোকা (জাতীয় পার্টি), মো. সেলিম প্রধান (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মো. হাবিবুর রহমান (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), শহিদ উন নবী (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), গোলাম মোর্শেদ রনি (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. ছৈয়দ হোসেন (জাসদ) ও কাজী দেলোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র)।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হক আরও জানান, নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন–এ কে এম সেলিম ওসমান (জাতীয় পার্টি), মো. আব্দুল হামিদ ভাসানী (তৃণমূল বিএনপি), এ এস এম একরামুল হক (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মোর্শেদ হাসান (জাকের পার্টি) ও ছামসুল ইসলাম (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)। গত দুটি সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও আওয়ামী লীগ এ আসনটিতে প্রার্থী দেয়নি৷ গত দুবারই এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির নেতা এ কে এম সেলিম ওসমান।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সংসদীয় পাঁচটি আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনে ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারব।’