পাঁচ বছরে বেড়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যত সম্পদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) হলফনামা জমা দিয়েছেন নৌকার এই প্রার্থী। যেখানে তিনি ও তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব-তথ্য দিয়েছেন। তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে তার নগদ অর্থ বেড়েছে ৩১ দশমিক ১৯ গুণ। নগদ অর্থ বেড়েছে তার স্ত্রীরও।
২০১৮ সালের হলফনামায় দেখা যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান খানের কাছে নগদ অর্থ ছিল দুই লাখ ৭০ হাজার ৬৮৫ টাকা। আর ২০২৩ সালের হলমনামা বলছে, তার কাছে নগদ রয়েছে ৮৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৬ টাকা। নগদ অর্থ বাড়লেও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ কমেছে বর্তমান এই সংসদ সদস্যের।
২০২৩ সালের হলফনামা অনুযায়ী, নগদ টাকা ৮৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৬ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৮২ লাখ ৯ হাজার ৯১৩ টাকা। বন্ড ও শেয়ার বাজারে রয়েছে ২৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭০০ টাকা। সঞ্চয়পত্র রয়েছে দুই কোটি ১১ লাখ তিন হাজার ৬৭১ টাকা। স্বর্ণ রয়েছে ১০ ভরি।
হলফনামা অনুযায়ী, বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে মন্ত্রীর বাৎসরিক আয় সাত লাখ ২০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে তার আয় ২৪ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯৬ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩০ টাকা। মন্ত্রী হিসেবে বেতন ও ভাতা মিলিয়ে তার আয় ২৩ লাখ ২২ হাজার ৫০৪ টাকা। অন্যান্য খাত থেকে তার আয় ১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
২০২৩ সালের হলফনামা অনুযায়ী আসাদুজ্জামান খানের কৃষি জমির পরিমাণ ১৭১ শতাংশ, যার বাজার মূল্য এক কোটি ছয় লাখ ১১ হাজার ৮৫০ টাকা। অকৃষি জমি সাড়ে ১৮ শতাংশ, যার বাজার মূল্য সাড়ে ৫৮ লাখ টাকা। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও গ্রামের বাড়ির মূল্য ৯২ লাখ ৯৭ হাজার ৭০০ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় তার কাছে নগদ ছিল দুই লাখ ৭০ হাজার ৬৮৫ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল এক কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৬২ টাকা। বন্ড ও শেয়ার বাজারে রয়েছে ২৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭০০ টাকা। সঞ্চয়পত্র ছিল এক কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ২৩৫ টাকা। স্বর্ণ ছিল ১০ ভরি।
এ ছাড়া ২০১৮ হলফনামা অনুযায়ী, মন্ত্রীর বাড়ি ও দোকান ভাড়া বাবদ আয় তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা। ওই সময় ব্যবসা থেকে তার কোনো আয় ছিল না। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় সাত লাখ ৬১ হাজার ৫৬১। মন্ত্রী হিসেবে বেতন ও ভাতা মিলিয়ে তার আয় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকা। অন্যান্য খাত থেকে তার আয় ৩০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
২০২৩ সালে হলফনামায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীর নগদ আছে এক কোটি ৭৫ লাখ ছয় হাজার ২২ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৮০ লাখ ৭২ হাজার ৮১৩ টাকা। বন্ড ও শেয়ার বাজারে আছে ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ টাকা। সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৫৯ লাখ ৩২ হাজার ৭১৪ টাকা। স্বর্ণ আছে ২০ ভরি।
স্ত্রীর বাড়ি ও দোকান ভাড়া এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে তার আয় হয়েছে এক কোটি এক লাখ ৪০ হাজার ১০৯ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় ছয় লাখ ১১ হাজার ৮৬৪ টাকা। চাকরি থেকে তার বাৎসরিক আয় দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা। রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় সাড়ে ১০ লাখ টাকা।
২০১৮ সালে আসাদুজ্জামানের স্ত্রীর কাছে নগদ ছিল ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪৬ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ১২ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৮ টাকা। বন্ড ও শেয়ার বাজারে ছিল ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ টাকা। সঞ্চয়পত্র ছিল ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৮২৬ টাকা। স্বর্ণ ছিল ২০ ভরি। এ সময়ে বাড়ি ও দোকান ভাড়া বাবদ কোনো আয় ছিল না তার। ব্যবসায়িক আয় ছিল ৪৯ লাখ ২২ হাজার ৪৮২ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় এক লাখ ৬৩ হাজার ১৪ টাকা। চাকরি থেকে তার আয় ছিল এক লাখ ৮০ হাজার। প্রবাসী আয় ছিল আট লাখ ২০ হাজার টাকা।