পাবনা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/12/24/pabna.jpg)
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলা ও পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে স্থানীয় এক সাংবাদিকের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এবং শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে দুই দফায় এসব হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আব্দুল লতিফ রঞ্জু বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নৌকা প্রতীকের একদল সমর্থক রেলবাজার এলাকায় মিছিল করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এ নিয়ে ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনার পর রাত সোয়া ২টার দিকে ব্যবসায়ী ফুরকান আলী বিশ্বাস, তার শ্বশুর এস এম আলম বাবলুর নেতৃত্বে পাঁচজন লোক আমার বাসার প্রধান ফটকে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা বাসাসংলগ্ন আমার ওষুধের দোকানের সাটার ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে দোকানের সামনে থাকা একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।’
স্থানীয়রা জানান, পরদিন শনিবার দুপুরে নৌকার সমর্থকরা রেলবাজার এলাকায় ওই সাংবাদিকের বাড়ির পাশে অবস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে এবং আবারও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। খবর পেয়ে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি পাবনা-৩ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং জেলা যুগ্ম ও দায়রা জজ তাজউল ইসলাম, চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুল ইসলাম ও চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টার বলেন, ‘প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকেই নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা একের পর এক হুমকি-ধমকি দিয়ে চলেছে। এখন শুরু করেছে ভাঙচুর। ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর নির্বাচনের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ন্যাক্কারজনক। আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করব।’
অভিযোগের বিষয়ে ফুরকান আলী বিশ্বাস বলেন, ‘আমি তো হামলা করিনি, বরং স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছেলে ও সাংবাদিকের ভাইসহ তাদের কিছু লোক ওই রাতে আমাকেই মারধর করেছে। হামলা, ভাঙচুর করলে কি আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকি?’
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, ‘শনিবার উভয়পক্ষ পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। দুটি অভিযোগই মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’