বরিশালে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
বরিশালে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও ২৫ জন। অভিযোগ বলছে, নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আজ ক্ষমতাসীন দলটির নির্বাচনি জনসভায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, নিহত সিরাজ সিকদারকে (৫৫) উভয়পক্ষই তাদের লোক বলে দাবি করেছে। হতাহতদের নামপরিচয় না মিললেও তারা কার সমর্থক তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। আর সিরাজ কীভাবে মারা গেছেন তা ময়নাতদন্তের পর বলতে পারবেন, বলেছেন চিকিৎসক।
জানা গেছে, নিহত সিরাজ সিকদার হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ ও আওয়ামী লীগ মনোনীত ড. শাম্মি আহম্মেদের সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আসে। সেখানে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ঘটনাস্থলেই সিরাজ নিহত হন। আহত হন দুপক্ষের অন্তত ২৫ জন। এর মধ্যে আহত ১৩ জনকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে তার সঙ্গেই লঞ্চে করে বরিশালে এসেছি। আমরা সবাই একসঙ্গে এসেছি। জনসভা মাঠে প্রবেশের সময় আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। সিরাজ শুরু থেকেই আমার কর্মী এবং নির্বাচনে ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন।’ হামলার ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত দাবি করে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমার লোকজন আসবে জেনে সমাবেশের প্রবেশ মুখে প্রস্তুতি নিয়েছিল তারা। প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে তারা হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আর্ন্তজাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মি আহম্মেদের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টার পরও যোগযোগ সম্ভব হয়নি। তার অনুসারী আওয়ামী লীগের আর্ন্তজাতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সৈয়দ মুনির বলেন, ‘সিরাজ আমাদের কর্মী। হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিপু সুলতানের সঙ্গে তিনি বরিশালে এসেছিলেন। সমাবেশস্থলে প্রবেশ মুখে সিরাজসহ আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।’
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কবির উদ্দিন বলেন, ‘ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়।’