ব্যালট ছিনতাইয়ে আটকে গেল ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ১১টি আসন। এর মধ্যে ১০টি আসনের ফলাফল জানা গেলেও রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে ঘোষণা করা হয়নি ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল। ইসিসূত্র বলছে, ‘ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায়’ এই আসনে একটি মাত্র কেন্দ্রের ফল স্থগিত আছে। তার ওপর নির্ভর করছে ফলাফল।
গতকাল রোববার (৭ জানুয়ারি) দিনভর নানা অনিয়ম-সংঘর্ষের কারণে আটকে আছে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের ফলাফল। যদিও তা আজ সোমবার ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
ইসির নির্বাচনি শাখার একটি সূত্র এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণের দিন রোববার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের ৪০ নম্বর ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভাঙচুর ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বিপত্তি বাধে তখন, যখন এ কেন্দ্রের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে; কে হবেন বিজয়ী। কারণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে এগিয়ে থাকা প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রাপ্ত ভোটের পার্থক্য খুব বেশি নয়। ফলে, এক কেন্দ্রের অনিয়মে আটকে আছে ময়মনসিংহ-৩ পুরো আসনের ফল।
জানা গেছে, এ আসনে নিলুফার আনজুম পপি নৌকা প্রতীকে লড়ে ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোমনাথ সাহা ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ২১১ ভোট। অর্থাৎ, এখন পর্যন্ত তাদের ভোটের পার্থক্য ৯৮৫।
নির্বাচনি অনিয়ম নিয়ে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নরোত্তম চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে জানান, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে চলছিল। তবে, দুপুর আড়াইটার দিকে এক দুর্বৃত্ত এসে একটি কক্ষ থেকে একটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তারপরও ভোটগ্রহণ চলছিল। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আরও লোকজন কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর করে পাঁচটি ব্যালট বাক্সসহ সব ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ফলে, ওই কেন্দ্রের ফলাফল গণনা করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ওই কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করা হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।