জামানত হারাচ্ছেন ১৫ প্রার্থীর ১১ জনই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট জেলার দুটি সংসদীয় আসনে মোট ১৫ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে ১১ জনই এবার জামানত হারাচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) জেলা রিটার্নিং অফিসার সালেহীন তানভীর গাজী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক জানান, নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাঁর আসনে প্রদত্ত সর্বমোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ (সাড়ে ১২ শতাংশ) ভোট না পেলে সরকারের অনুকূলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। সে অনুযায়ী এবার জেলার দুটি আসনের ১১ প্রার্থীই মোট প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
জয়পুরহাট-১ (সদর ও পাঁচবিবি) আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন সাতজন। আসনটির মোট ১৫১টি কেন্দ্রের মোট ভোটার চার লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ জন। তার মধ্যে এ নির্বাচনে ভোট পড়েছে এক লাখ ৬৩ হাজার ৯০০টি। মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ হয় ২০ হাজার ৪৮৮টি।
এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী সামছুল আলম দুদু ৯৬ হাজার ১ ভোট পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আব্দুল আজিজ মোল্লা পান ৪৭ হাজার ৭৭৬ ভোট। অপর পাঁচ প্রার্থী মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পাওয়ায় জামানত হারাতে হচ্ছে।
অপর দিকে জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল) আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আটজন। আসনটির মোট ভোটার তিন লাখ ৩৫ হাজার ৯৭২ জন। মোট ভোট পড়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৯। এর আট ভাগের এক ভাগ হয় ২৪ হাজার ২৯৩ ভোট।
এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন পান এক লাখ ৫১ হাজার ১২৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর পান ৩২ হাজার ৫৪১ ভোট। অপর ছয় প্রার্থী কম ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত হারাতে হচ্ছে।
যারা জামানত হারাচ্ছেন তারা হলেন জয়পুরহাট-১ আসনে স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম রায়হান মণ্ডল মনু ছয় হাজার ৬২৬ ভোট, স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. জহুরুল ইসলাম পাঁচ হাজার ৪৬০ ভোট, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন এক হাজার ৩২৯ ভোট, ন্যাশন্যাল পিপলস্ পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী মো. রুকুনুজ্জামান ৫০৯ ভোট ও তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী মো. মাসুম ৪৭০ ভোট।
জয়পুরহাট-২ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু সাইদ নুরুল্লাহ দুই হাজার ৪১ ভোট, ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. আতোয়ার রহমান মণ্ডল (৭৯৫ ভোট), ন্যাশলাল পিপলস্ পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু সাঈদ (৭৫২ ভোট), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মশাল প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন (৫৩৪ ভোট), স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুর রাজ্জাক সরদার ৩৬২ ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী মো. নয়ন ২০৮ ভোট।