মসিক নির্বাচনে মেয়র পদে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাছাই-বাচাইয়ে মেয়র পদে একজন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) যাছাই-বাচাইয়ে বিভন্ন তথ্যগত কারণে এই ৩৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী গোলাম ফেরদৌসের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ভোটারের সমর্থন তালিকায় গড়মিল থাকায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে বর্তমান সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ এহতেশামুল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু, নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট ফারমার্জ আল নূর রাজীব, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. মো. রেজাউল হক এবং জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডলের।
আজ সকাল থেকে নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে মনোনয়নপত্র যাছাই-বাচাই শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, মেয়র পদে একজনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। ছয়জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে ৬৯ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে তিনজন আর ১৬৪ সাধারণ কাউন্সিলরের মধ্যে ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার আরও জানান, যাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তাঁরা আগামীকাল শুক্রবার থেকে রোববার (১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আপিল করার সুযোগ পাবেন।
আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে মসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মেয়র পদে সাতজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৪ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে প্রচারণা।
১৫৭ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ পৌরসভা ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর সিটি করপোরেশনে উন্নীত হলে ২০১৯ সালের ৫ মে প্রথম ভোটগ্রহণ হয়। তখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইকরামুল হক টিটু মেয়র নির্বাচিত হলে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
৯১ দশমিক ৩১৫ বর্গকিলোমিটারের আয়তনের এই নগরীতে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড রয়েছে। মোট ভোটার তিন লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৭২, নারী এক লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ এবং তৃতীয় লিঙ্গের নয়জন ভোটার রয়েছে।
আগামী ৯ মার্চ দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ভোটে দলীয় প্রতীক না থাকায় একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন। নগরীকে তিলোত্তমা শহর হিসেবে গড়ে তুলতে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা।