চেয়ারম্যান পদে স্বামী-স্ত্রী, চাচা-ভাতিজার লড়াই
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বামী-স্ত্রী-ভাই ও চাচা-ভাতিজা। নির্বাচনের চশমা প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম শিপনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়েছেন তাঁরই স্ত্রী শামীমা আখতার সোনিয়া ও সহোদর ভাই জাহিদ হাসান সেলিম। এ ছাড়া নজরুল ইসলাম নামে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়েছেন তাঁরই ভাতিজা সজল মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের মাঠে লড়াই হবে শিপন, নজরুল ও নুরে আলম সিদ্দিকী মিঠু মধ্যে। আর সোনিয়া, সেলিম ও সজল নামের এই তিন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ নিলেও তাদের মাঠে নেই পোস্টার ও নেই কোনো প্রচারণা। তাঁরা নিজে প্রার্থী হয়েও কাজ করেছেন চাচা, স্বামী ও ভাইয়ের পক্ষে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওই পাঁচ প্রার্থী ছাড়াও এখানে আরও রয়েছেন। তারা হলেন ঘোড়া প্রতীকে নুরে আলম সিদ্দিকী মিঠু, আনারস প্রতীকে জিয়াউর রহমান জিয়া, দুটিপাতা প্রতীকে আল মামুন মণ্ডল ও টেবিল ফ্যান প্রতীকে নবাকুল ইসলাম।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে। উঠান বৈঠকসহ মাইকে প্রচার ও কর্মী-সমর্থক নিয়ে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এলাকার নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন তাঁরা। বিশেষ করে ভোটযুদ্ধে মাঠে লড়ছেন শহিদুল ইসলাম শিপন, নজরুল ইসলাম ও নুরে আলম সিদ্দিকী মিঠু। এই তিন প্রার্থীর মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে ভোটারদের ধারণা। আর টেবিল ফ্যান প্রতীকে নবাকুল ইসলাম নামের প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও তাঁরও কোন পোস্টার বা প্রচারণা দেখা যায়নি।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আতাউল হক বলেন, ধাপেরহাট ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ৪০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৫৯৬ আর নারী ১২ হাজার ৮০৭। আগামী ৯ মার্চ সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত ১২টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ধাপেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল কবির মিন্টুর মৃত্যুজনিত কারণে পদটি শূন্য হয়।