আগে সংস্কার পরে নির্বাচন : আ-আম জনতা পার্টি

ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টির আহ্বায়ক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন বলেছেন, আগে সংস্কার পরে নির্বাচন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার বনানীতে একটি হোটেলে আয়োজিত নতুন দলটি আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শেষে নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ রফিকুল আমীন বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান শুধু একটি নির্বাচনের জন্য হয়নি। আমাদের যে যে জায়গায় সমস্যা রয়েছে সে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। সংস্কারের যে উদ্দ্যেগ নেওয়া হয়েছে তা আগে শেষ করে তারপরই নির্বাচন করতে হবে। কে কি বলল তা জানি না, আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য আগে সংস্কার পরে নির্বাচন।
এর আগে, আত্মপ্রকাশকালে দলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নতুন এই দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। এ সময় তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ, প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখা, আইনের সু-শাসন, সবার জন্য শিক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ, জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আয় বৈষম্য নিরসন ও সামাজিক সুরক্ষা, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, অনুন্নত সম্প্রদায় এবং অনগ্রসর গোষ্ঠীর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি প্রদান করা হবে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টির মূল ভিত্তি।’
স্বাধীন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বিচার বিভাগের জন্য নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথককরণ, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ঢেলে সাজানো ও সকল প্রকার প্রভাবমুক্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে বলেও ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ সময় তিনি দলটির পক্ষ থেকে নয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
দলটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন গণ-অধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে আসা ফাতিমা তাসনীম। ২৯৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছে এই দল।
আত্মপ্রকাশকালে রফিকুল আমীন বলেন, ‘বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের আপামর জনতা ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি (বিএজেপি)’ নামে একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছে।’
বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টির স্লোগান হলো, ‘শিক্ষা-সমতা সু-বিচার যেখানে, আ-আম জনতা হাঁটবে সেখানে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জনতার দলের সদস্য সচিব আজম খান, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান কর্নেল (অব) দিদারুল আলম, নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।