চাঁদপুরে দুই উপজেলায় ভোটার উপস্থিতি কম
চাঁদপুরে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মতলব উত্তর ও দক্ষিণে চলছে ভোটগ্রহণ। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। সরেজমিনে কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ভোটারের চেয়ে পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি অনেক বেশি।
সকাল থেকে বৈরি আবহাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম বলে জানান কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসাররা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মতলব সরকারি কলেজে ভোট শুরুর এক ঘন্টায় মাত্র পাঁচজন ভোটার দিয়েছেন। যদিও প্রার্থীদের এজেন্টরা বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে।
অন্যদিকে, ভোটগ্রহণ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিশৃঙ্খলাসহ যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন স্ট্রাইকিং ফোর্স, সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যসহ আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
১২নং ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের আমিনপুর স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা মুনছুর আহমেদ বলেন, ‘৭০ বছরে বয়সে প্রথম ইভিএম-এ ভোট দিলাম। আগের মতো আর নির্বাচনি আমেজ নাই। আমার পরিবারের কারও ভোট দিতে আগ্রহ নাই। আগে নির্বাচনে যে উৎসব ছিল, তার আর এখন নাই।’
সুজাতপুর নেছারাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা তানজিলা আক্তার বলেন, ‘এই প্রথম আমি ভোট দিতে এসেছি। ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মতর্কতারা ধারণা দেওয়ায় সহজেই ভোট দিতে পেরেছি।’
মতলব দক্ষিণ পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন বলেন, ‘সকালে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও দুপুরের পর ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসবে। নির্বাচনি পরিবেশ খুব ভালো।’
এদিকে কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মোক্তার হোসেন বলেন, ‘বেশির ভাগ কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্ট বের করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আমাদের ভোটারদের ভোটকেন্দ্র আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মানুষ ভোট কেন্দ্রে আসতে ভয় পাচ্ছে।’ ভোটার যাতে কেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
চাঁদপুরের দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন চারজন প্রার্থী।