ধান কাটার কারণে অনেকেই ভোট দিতে আসেননি : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে। একটি কারণ হতে পারে বর্ষা, সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি ছিল। আবার ধান কাটার একটা মৌসুম ছিল। আমরা জানার চেষ্টা করেছি। আমাদেরকে বলা হয়েছে, অনেকেই ধান কাটতে থাকায় উনারা ভোট দিতে আসেননি।
আজ বুধবার (৮ মে) বিকেলে উপজেলার প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, সকালে কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে, এটা একটা কারণ হতে পারে। আর আমাদের কাছে সব থেকে বড় কথা হচ্ছে পার্সেন্টজ আপনাদের জানা উচিত, ফার্স্ট পাস্ট দি পোস্ট সিস্টেমে যেটাকে মেজোরিটেরিয়ান সিস্টেম বলে এখানে ২ পার্সেন্ট ভোট আর ৬০ পার্সেন্ট ভোট... ভোটার বেশি আসলে অবশ্যই উৎসাহব্যঞ্জক, যদি আরও ভালো ভোট হতো সেটি ভালো হতো। বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, আমরা গণনা করে কে বেশি ভোট পেয়েছেন, তাকে বিজিত ঘোষণা করা।
৩০ থেকে ৪০ পার্সেন্ট ভোট পড়া এটা স্বাভাবিক কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটা বিশ্লেষণ করে কোনো মতামত আমি ব্যক্ত করব না। এটি আমার বিষয় নয়। আমার বিষয় হচ্ছে ভোট হয়েছে কিনা, ভোটাররা আসছে কিনা, তারা ভোট দিতে পেরেছেন কিনা।
ভোট পড়ার হারে আপনারা সন্তুষ্ট কিনা? জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এটাও আমি বলব না। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন যে আজকে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে যে তথ্য পেয়েছি সে অনুযায়ী নির্বাচন ভালোভাবেই অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। যেখানে কিছু সংঘর্ষ, কিছু আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি কেন্দ্রে, সীমিত কয়েকটি জায়গায় কিছু অনিয়ম হয়েছে। যে কারণে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। দুটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন এবং দায়িত্ব পালনে তৎপর ছিলেন। তারা পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সে কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালোই ছিল। আমি বলবো না যে কোথাও কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিছু কিছু খুবই বিক্ষিপ্ত সীমিত পর্যায়ে ঘটনা ঘটেছে।
সিইসি বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী ৩৪টি ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত ৩৭ জন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে যে সংঘর্ষটা হয়েছে সেটা প্রার্থীদের যারা সমর্থক এবং কর্মী তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ১০ হাজার ৩৯৯টি কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মোটামুটিভাবে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। যেটা আগেই বলেছি, পুনর্ব্যক্ত করলাম, বিক্ষিপ্ত দু-চারটি ঘটনা ছাড়া।