রাঙ্গাবালীতে তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল
নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করায় পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার (২ জুন) নির্বাচন কমিশনের শুনানি শেষে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
সচিব বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করায় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন প্রার্থীর শুনানি শেষে প্রার্থিতা বাতিল করেছে ইসি।
তিন প্রার্থী হলেন চেয়ারম্যান পদে মো. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বেগম ফেরদৌসী।
এর আগে, গত ৩১ মে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ইসিতে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
ইসি জানায়, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাট নামক স্থানে ও চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এই তিনজনকে প্যানেল করে অবৈধভাবে প্রকাশ্যে ভোট চেয়েছেন। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ২২ অনুসারে নির্বাচনি আচরণ বিধির লঙ্ঘন। সেজন্য তাঁদের আজ ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছিল। আজ তারা হাজির হলে শুনানি শেষে তাঁদের প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি।
এ ছাড়াও গত শুক্রবার (৩১ মে) রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চর আন্ডা গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ এবং ত্রাণ বিতরণে যান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান। ওই সময়ে প্রতিমন্ত্রীকে বহনকারী স্পিডবোটে প্রটোকলে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তার পাশে বসেই ইউএনওর কাধে মাথা রেখে রেস্ট নিতে দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে লুকোচুরি খেলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মামুনকে।
এর আগেও গত ১০ মে (শুক্রবার) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদের বিতর্কিত চেয়ারম্যান মু. সাইদুজ্জামান মামুনের পদত্যাগ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নানান নাটকীয়তার আশ্রয় নিয়েছিলেন। যা নিয়ে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে ইউএনও মামুনের সন্দেজনক অবৈধ সখ্যতার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়।
পরে ইউএনওর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।