ধাঁধার সমাধান
শাংকুর খুনি কে?
সমাধান
পুংকু বা মাংকু; কেউই শাংকুর খুনি নয়। কারণ শাংকুর মৃত্যু বিষয়টি কোনো খুন বা হত্যাকাণ্ড নয়। সে পানির পিপাসায় মরেছে।
প্রথমত, শাংকুর পানির বোতলে বিষ মিশিয়েছিল পুংকু। সেই পানি শাংকু খেতেই পারেনি। কাজেই শাংকুকে খুন করার পরিকল্পনা করলেও তাকে খুন করতে পারেনি পুংকু। সুতরাং কোনোভাবেই সে শাংকুকে খুন করেনি বা করতে পারেনি।
অন্যদিকে, মাংকু গুলি করেছে শাংকুর পানির বোতলে, শাংকুকে নয়। কাউকে পানি খেতে না দেওয়ার মানে তাকে খুন করা নয়। পুংকু বা মাংকু, তাদের কাছেও পানি ছিল না।
গতকালের ধাঁধাটি ছিল
প্রচণ্ড গরম। ধূধূ মরুভূমি। এর মধ্য দিয়ে দূরপথ পাড়ি দিচ্ছে তিন দুর্ধর্ষ ডাকাত—পুংকু, মাংকু আর শাংকু। তিনজনের কাছেই ব্যাগভর্তি ডাকাতির মালামাল, তিনদিন আগে এক অভিযাত্রীদলের সব টাকা-পয়সা লুটে নিয়েছে তারা। শেষ মুহূর্তে একটু ঝামেলায় পড়ে গোলাগুলিও হয়েছে। তাতে আহত না হলেও পুংকু আর মাংকুর পানির বোতল ফেটে গেছে। এখন পানিভরা বোতল আছে শুধু শাংকুর কাছে।
শাংকুর ওপর পুংকুর প্রচণ্ড রাগ। ঘৃণা করে সে শাংকুকে। শাংকু প্রচণ্ড শক্তিশালী, আর সামনে কোনো পানির সন্ধান পাওয়ার আগে সে নিজের পানির বোতল থেকে এক ফোঁটা পানিও দেবে না কাউকে। ধূর্ত পুংকু এ জন্য পরিকল্পনা আঁটল, খুন করবে সে শাংকুকে। কিন্তু কীভাবে? পুংকুর কাছে আছে ভয়ংকর বিষ। যে খাবে সে কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রাণ হারাবে। দক্ষ চোর পুংকু, শাংকুর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঠিকই বিষ মিশিয়ে দিল পানির বোতলে। এখন শুধু অপেক্ষা। শাংকু পানি খাবে আর ছটফট করে মারা যাবে—বিষয়টি ভাবতেও ভালো লাগছে পুংকুর।
শাংকুর ওপর মাংকুরও অনেক রাগ। কিন্তু মাংকুর মাথায় এত বুদ্ধি নেই, সে কেবল হিংস্র! সে ঠিক করল, শাংকু যেহেতু কাউকে পানি খেতে দেবে না, কাজেই সেও শাংকুকে পানি খেতে দেবে না। সে গুলি করে দিল শাংকুর পানির বোতলে। তার পর পানি ছাড়া শাংকুকে ফেলে পালাল দুজনেই। কারণ, শাংকুর মতো স্বার্থপরের সঙ্গে তারা আর একমুহূর্তও থাকতে চায় না। এর পরপরই মারা গেল শাংকু।
প্রশ্ন হলো, খুনি কে?