শূন্যস্থানের সংখ্যা কত?
আর কয়েক দিন পরই পরীক্ষা শুরু। বাসায় বসে জোরদার প্রস্তুতি নেওয়া ছাড়া উপায় নেই কলেজপড়ুয়া ইরিনার। এখন কলেজ ছুটি, বাইরেও বৃষ্টি লেগেই আছে। ঘরের মধ্যে বইপত্র, কম্পিউটার আর স্মার্টফোন নিয়েই সময় কাটছে তার। আজকে সকালে ওর বান্ধবী মিথিলা এসেছে। তখন থেকে মজারই কাটছিল সময়টা, এখন দুজনেই মুখ গোমড়া করে বসে আছে।
ঝামেলাটা ইরিনাই বাধিয়েছিল। ইন্টারনেটে হাবিজাবি ঘাঁটতে গিয়ে কোত্থেকে যেন একটা গণিতের ধাঁধা বের করল। তিনটা বৃত্ত, প্রতিটার মধ্যে তিনটে করে ভাগ, সেগুলোয় একটা করে সংখ্যা লেখা। শুধু তৃতীয়টায় সংখ্যা দুটো, তিন নম্বর ঘর খালি। এখানে কী সংখ্যা বসবে, সেটাই বের করতে হবে। দুজনে মিলে ঘণ্টাখানেক নানা ছক কষেও কোনো গ্রহণযোগ্য উত্তর পেল না।
এদিকে, ইরিনার ক্লাস এইটপড়ুয়া ছোট বোন ইশানা হঠাৎ করে ওদের ঘরে এসে এই সমস্যা নিয়ে দুই বন্ধুর কীর্তিকলাপ দেখছিল। সামান্য দেখেই সে দুম করে বলে দিল সংখ্যাটা! মিথিলা জিজ্ঞেস করল, ‘তুই কীভাবে বের করলি উত্তর? একটা বললেই হলো?’ ইশানার ঝটপট জবাব, ‘অবশ্যই একটা পদ্ধতি আছে। তোমরা ভেবে বের করো, না হলে আমি একটু পর এসে বলছি।’ সেই যে পিচ্চিটা দৌড় দিল, তার পর আর আসার নামটিও নেই! এখন মুখ বেজার করে বসে থাকা ছাড়া উপায় কী? দুজনের একজনও ইশানার কাছে উত্তর জানার জন্য দৌড়াতে রাজি নয়। ওদের কথা, আমরা এতক্ষণ অঙ্ক করে পারছি না, আর ও দেখেই বলে দিল কীভাবে?
আপনি কি বলতে পারেন, ওই ঘরে কোন সংখ্যা বসবে?