দুরন্তর পর্দায় প্রতিদিন সিসিমপুর
ছোটদের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুর। অন্যদিকে অল্পদিনেই ছোট্ট বন্ধুদের মনে জায়গা করে নিয়েছে দুরন্ত টেলিভিশন। ছোটদের প্রিয় এই দুটি মাধ্যম এবার যুক্ত হয়েছে একসঙ্গে। অর্থাৎ সিসিমপুর দেখা যাবে দুরন্ত টেলিভিশনের পর্দায়।
আগামী ১৪ জুলাই থেকে সপ্তাহে প্রতিদিন তিনবার করে দুরন্ত টিভিতে দেখানো হবে সিসিমপুর। সকাল সাড়ে ৮টা, দুপুর সাড়ে ১২টা ও বিকেলে সাড়ে ৫টায় দেখা যাবে ছোটদের এই অনুষ্ঠান।
রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান সিসিমপুরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম।
শাহ আলম জানান, নতুন করে দুরন্ত টেলিভিশন যুক্ত হওয়ায় এখন থেকে মোট তিনটি টেলিভিশনে দেখা যাবে সিসিমপুর। বাকি দুটি টেলিভিশন হলো, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও আরটিভি।
শিশুদের শিক্ষাকে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য করার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল সিসিমপুরের। ২০০৫ সালে শুরু হয়েছিল এই টেলিভিশন অনুষ্ঠানটির যাত্রা। চলতি বছরই অনুষ্ঠানটি পা দিয়েছে ১৫তম বছরে।
২০২০ সালের পয়লা বৈশাখে পথচলার দেড় যুগ করবে সিসিমপুর। দেড় যুগ পূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা আয়োজন থাকছে সিসিমপুরে। আর এসব নিয়েই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সিসিমপুরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম।
অনুষ্ঠানে সিসিমপুরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরেন মোহাম্মদ শাহ আলম। তিনি বলেন, ‘সিসিমপুর এরই মধ্যে সফলভাবে ১২টি সিজন শেষ করেছে। বর্তমানে জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটির ১৩ ও ১৪তম সিজনের শুটিং চলছে।’
প্রচার হওয়া ১২টি সিজনে ৭০০টির মতো পর্ব তৈরি হয়েছে। সিসিমপুর চলে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছেও। আর তাই ২০১০ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ট্রাস্ট পরিচালিত একটি জরিপে সিসিমপুর শিশুতোষ অনুষ্ঠান হিসেবে শীর্ষস্থানীয় এবং সামগ্রিকভাবে তৃতীয় জনপ্রিয় অনুষ্ঠান নির্বাচিত হয়।
২০০৭ সালে পরিচালিত এসিপিআরের একটি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি নিয়মিত দেখে, তারা অন্যদের চেয়ে এক বছরের বড় শিশু। এ ছাড়া যারা সিসিমপুর দেখে না, তাদের চেয়ে ভাষা ও বর্ণ, গণিত ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয়ে বেশি দক্ষতা প্রদর্শন করেছে।
অনুষ্ঠানে শাহ আলম জানান, ইকরি, হালুম, শিকু, টুকটুকির মতো আগামীতে জুলিয়া নামে নতুন একটি চরিত্র যুক্ত হবে সিসিমপুরের বহরে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের শিশুদের স্বপ্নপূরণের যাত্রায় সিসিমপুর সবাইকে পাশে পাবে।
অনুষ্ঠানে সিসিমপুরের জনিপ্রিয় চরিত্র ইকরি, টুকটুকি, হালুম এবং শিকুও উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, সিসিমপুরের নির্বাহী প্রযোজক মনোয়ার শাহাদাৎ দর্পণ, সিনিয়র ম্যানেজার খলিলুর রহমান প্রমুখ।