লক্ষ্মী পেঁচার লক্ষ্য মাথা
নামে শুধু নয়, আচরণেও পেঁচাটি বড় লক্ষ্মী। আকারে বিশাল এই পেঁচাটি আপনাকে কিচ্ছু ‘বলবে’ না, কিচ্ছু করবেও না। শুধু খুশি মনে উড়তে উড়তে আপনার মাথায় এসে বসবে। বোরড পান্ডায় মিলল এই পৌনে তিন কেজি ওজনের বন্ধুবৎসল পেঁচার খবর। এই পেঁচার কল্যাণে ছোটখাটো ডাচ শহর নরডিয়েন্ডে রাতারাতি আলোচিত হয়ে উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে।
পেঁচাটি জাতে ইউরোপিয়ান ঈগল পেঁচা। ওজনে আর আকারে দশাসই হলেও এটি খুবই বন্ধুবৎসল। আজব বিষয় হলো, দর্শনার্থীদের মাথা তার খুবই পছন্দের জায়গা। ওই শহরের অনেকেরই মাথায় এসে চুপচাপ বসে থেকেছে পেঁচাটি। খালি বসা পর্যন্তই, কোনো ধরনের ঠোকর দেওয়া বা জ্বালাতন করার অভ্যেস নেই পেঁচাটির। যার জন্য তাকে ভয়ও পায় না কেউ, বরং সবারই আশা- আহা, তার মাথাতেও যদি উড়ে এসে বসত পাখিটি!urgentPhoto
পেঁচাটির মাথায় এসে বসবার ছবি তুলেছেন মেনো শেফার নামের এক ৪৮ বছর বয়স্ক শৌখিন ফটোগ্রাফার। তাঁর মাথাতেও এসে বসেছিল পাখিটি, তবে বেশিক্ষণ থাকেনি! তিনি বলেন, ‘আমি যেই মাথায় বসবার পর ক্যামেরা তুললাম, সে উড়ে গিয়ে আমার পাশে দাঁড়ানো আরেকজনের মাথায় গিয়ে বসল।’
এই বিচিত্র পেঁচাকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ওই শহরে আসছেন দর্শনার্থী আর আলোকচিত্রীরা। এই সুবাদে শহরটি হয়ে উঠেছে আলোচিত। এতে বেশ খুশি শহরবাসী। ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফটোগ্রাফার আর পাখিপ্রেমীরা আসছেন আমাদের শহরে। কারণ একটাই, এই ঈগল পেঁচাটিকে এক নজর দেখতে চান সবাই। আমাদের এলাকা তো এখন ম্যাপে চলে এসেছে’-নিজেদের খুশির কথা এভাবেই জানান ওই এলাকার এক বাসিন্দা।
তবে, পেঁচাটির এমন ‘বিচিত্র’ আচরণের মানে খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই। মেনো শেফার বলেন, ‘বিষয়টা দেখতে খুবই মজা লাগে। তবে সত্যি বলতে কি, আমিও আর সবার মতোই কনফিউজড, বুঝতে পারছি না যে সে কেন এমন করে।’