আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে শাস্তি কী?
আদালতে মামলা প্রমাণ করার জন্য সাক্ষী অপরিহার্য। সাক্ষ্য ছাড়া বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য মিথ্যা মামলা করেন অনেকেই। আবার অনেকে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন। আদালতের বিচারক যদি বুঝতে পারেন সাক্ষী মিথ্যা কথা বলছে, তাহলে তিনি আইন অনুসারে মিথ্যা সাক্ষীকে সাজা দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৯১ ধারায় মিথ্যা সাক্ষীর সংজ্ঞা দেওয়া আছে। সেখানে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি যদি শপথ নিয়ে, আইনত বাধ্য হওয়া সত্ত্বেও অথবা ঘোষণা দিতে আইন অনুসারে বাধ্য হওয়া সত্ত্বেও এমন কথা বলে, যা মিথ্যা এবং যা সে মিথ্যা বলে জানে, সে মিথ্যা বলে বিশ্বাস করে অথবা যা সে সত্য বলে বিশ্বাস করে বা করে না, তবে উক্ত ব্যক্তি মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছে বলে পরিগণিত হয়।
মিথ্যা সাক্ষ্যের শাস্তি
কোনো ব্যক্তি যদি কোনো বিচার বিভাগীয় কার্যক্রমের যেকোনো পর্যায়ে ইচ্ছাকৃত মিথ্যা সাক্ষ্যদান ব্যবহার করার জন্য মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়, তবে সে ব্যক্তি সাত বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি যদি অপর কোনো ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত মিথ্যা সাক্ষ্য দান করে বা তৈরি করে, তবে সে ব্যক্তি তিন বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তাকে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা যাবে।
লেখক : আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট