হ্যাকিংয়ের জন্য ১৩ লাখ ডলার দিয়েছিল এফবিআই!
বিভিন্ন সময়ে আইফোনে আড়িপাতার জন্য আইফোন হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
এ মাসের শুরুতেই এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল সান বার্নারদিনোয় হামলার ঘটনা তদন্তের জন্য এক হামলাকারীর আইফোন হ্যাক করেছিল তারা।
আর এই কাজে তারা একজন হ্যাকারের সাহায্য নিয়েছিল। অর্থের বিনিময়ে এফবিআইয়ের হয়ে আইফোন হ্যাকিংয়ের কাজ করেন ওই হ্যাকার।
আর এবার সেই হ্যাকারকে দেওয়া অর্থের পরিমাণও জানা গেল। গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে অ্যাসপেন সিকিউরিটি ফোরামের এক অনুষ্ঠানের এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কমি জানিয়েছেন, আইফোন হ্যাকিংয়ের জন্য ওই হ্যাকারকে এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে ১৩ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ দেওয়া হয়।
তবে হ্যাকারকে দেওয়া অর্থের সঠিক পরিমাণটি জানাননি কমি। হ্যাকারদের দেওয়া অর্থের অঙ্ক সম্পর্কে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি গত সাত বছর চার মাসে যে বেতন পেয়েছি তার সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল হ্যাকারকে।’
আর তাঁর এই কথার সূত্র ধরে বার্তাসংস্থা রয়টার্স হিসেব করে এই অর্থের পরিমাণ বের করেছে।
একটি আইফোন হ্যাকিংয়ের জন্য এত অর্থ খরচ করা হলেও কমির মতে, ‘হ্যাকারকে দেওয়া অর্থ বৃথা যায়নি। আমাদের যা দরকার ছিল সেটা আমরা পেয়েছি।’
অ্যাপলের তৈরি আইফোনে নিরাপত্তা বিধানের জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার থাকে। আর সেসব কারণে এসব ফোনে আড়িপাতা বা ফোন থেকে তথ্য চুরি করা বেশ কষ্টসাধ্য।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সান বার্নারদিনোয় সৈয়দ ফারুক নামের একজন হামলাকারীর গুলিতে ১৪ জন মারা যায়। হামলার সময় ফারুকের স্ত্রীও তার সঙ্গে ছিলেন। পরে পুলিশের গুলিতে তাঁরা দুজনেই ঘটনাস্থলে নিহত হন।
এরপর হামলার ঘটনা তদন্তে আদালতের কাছে ফারুকের ব্যবহৃত আইফোনটি থেকে তথ্য সংগ্রহের আবেদন করে এফবিআই। আদালতের পক্ষ থেকে অ্যাপলকে নির্দেশ দেওয়া হয় এই কাজে এফবিআইকে সহায়তা করার।
হ্যাক করার অনুমতি চেয়েছিল এফবিআই। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পরই আইফোনটি হ্যাক করে এফবিআই। তবে তাতে অপরাগতা প্রকাশ করে আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করে অ্যাপল। পরে হ্যাকারদের সহযোগিতায় তথ্য উদ্ধার করে এফবিআই।